ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে মাঝেমাঝে দোসা, উপমা বানান। আর দক্ষিণ ভারতীয় খাবার মানেই তাতে অবধারিত পুদিনা পাতা থাকবে। অড়হড় ডাল বানালেও তাতে খানিকটা কারিপাতা দিয়ে দেন। আসল ব্যাপার হল বাড়িতে কারিপাতা খাওয়ার চল রয়েছে। প্রায়ই দরকার হয় বলে বাড়ির পাশের একফালি জায়গায় কারিপাতা গাছ পুঁতেছেন। এতে অনেকটা সুবিধা হবে ঠিকই। তবে কারিপাতা গাছের যত্নও নিতে হবে বুঝেশুনে। কোন দিকগুলিতে বেশি নজর দেবেন?
জল
কারিপাতা গাছে জল দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। প্রতি দিন গাছে জল দেওয়ার দরকার পরে না। ২-৩ দিন অন্তর বেশি করে জল দিলেই যথেষ্ট। বেশি জল দিলে আবার গাছের গোঁড়া পচে যেতে পারে।
সূর্যালোক
কারিপাতা গাছের প্রয়োজন পর্যাপ্ত সূর্যালোক। তাই সরাসরি যাতে রোদ পায় গাছ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সারা দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা রোদের সংস্পর্শে থাকলে কারিপাতা গাছ তরতরি বেড়ে উঠবে। বাড়ির বারান্দা যদি দক্ষিণ খোলা হয়, তা হলে সেখানেই রাখা যেতে পারে।
মাটি
কারিপাতা গাছের ক্ষেত্রে মাটির ধরন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাটি ভিজে থাকলে গাছের সমস্যা হতে পারে। তাই মাটি যেন বিশেষ ভিজে না থাকে। সারের ক্ষেত্রেও ভেষজ হলে ভাল হয়। কৃত্রিম সার কারিপাতার গাছের জন্য ভাল নয়।
পোকামাকড়ের আনাগোনা
গাছে পোকামাকড় ধরেছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাতার ধার বরাবর ছোট ছোট ছিদ্র কিংবা অতিরিক্ত পাতা ঝরা পতঙ্গের ইঙ্গিত হিসাবে ধরা যেতে পারে। তৎক্ষণাৎ সাবধান হওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে পোকামাকড় নিধন করার কীটনাশক কিংবা স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।