এই দেশে প্রতি বছর যে পরিমাণ জঞ্জাল ফেলা হয়, তার পরিমাণ ১০৮,০০০ মেট্রিক টনের বেশি। যদি বিশেষ নজর না দেওয়া হয়, তবে আগামী দশ বছরে তার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে কয়েক গুণ। এই জঞ্জালের মধ্যে বেশির ভাগই আবার বাড়ির ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র। এমনই বলছে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা।
ছেঁড়া জুতো, ডিম বা সব্জির খোসা, ভাঙা কলম রাখার বাক্স, মোজা, ক্রিমের কৌটো, জলের বোতল, পুরনো জিন্স, ক্ষয়ে যাওয়া রংপেন্সিল, কফির গুঁড়োর মতো আরও অনেক জিনিসপত্র আমরা ফেলেই দিয়ে থাকি। অথচ এই ধরনের জিনিস দিয়েই বানানো যেতে পারে দরকারি নানা কিছু। তাতে সংসারে ব্যয় তো কমেই, ফেলে দেওয়া জিনিসপত্রের পরিমাণও হয়ে যায় অনেক কম। ফলে একই সঙ্গে দেশের কল্যাণের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত সুবিধাও হতে পারে, আমরা যদি অল্প একটু মাথা খাটাতে পারি।
পুরনো জিন্স ফেলে না দিয়ে একটু কেটে-জুড়ে বানিয়ে নিন পাপোস
কী ভাবে ফেলে দেওয়া জিনিস নতুন করে ব্যবহার করবেন?
১। সব্জি বা ডিমের খোসা সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু গাছের সার হিসাবে এ সবের প্রয়োজনীয়তার কথা অনেকেই জানেন না। ফলে কাঠপেন্সিলের গুঁড়ো, ডিমের খোসা, শাকসব্জির উপরের অংশ ফেলে না দিয়ে রেখে দিন বাড়িতে রাখা গাছের টবে।
২। মেশিনে পড়ে থাকা কফির গুঁড়ো ত্বকের জন্য খুব উপকারী। ফেলে না দিয়ে অল্প অলিভ অয়েল বা গায়ে মাখার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের জেল্লা হবে দেখার মতো।
৩। ক্ষয়ে যাওয়া রংপেন্সিল ফেলে না দিয়ে মোম গলিয়ে তার সঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন বাহারি মোমবাতি। আপনার ঘরের চেহারা সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে।
৪। জলের বোতল, ক্রিমের কৌটো, কলম রাখার বাক্স ফেলে না দিয়ে একটু সময় নিয়ে মাপমতো কেটে রং করে নিন। দেওয়ালে বসিয়ে নিয়ে রেখে দিন কিছু ফুল। কম খরচে তৈরি হবে আপনার ফুলদানি। বাড়ির জৌলুসও হবে ব্যতিক্রমি।
৫। পুরনো জিন্স ফেলে না দিয়ে একটু কেটে-জুড়ে বানিয়ে নিন পাপোস কিংবা গায়ের চাদর। শীতকালে পাবেন ঠান্ডার হাত থেকে মুক্তি। খরচ তো বাঁচবেই।
৬। ছেঁড়া জুতো কিংবা গাড়ির টায়ারও ফেলে না দিয়ে একটু রং করে নিয়ে তাতে মাটি ফেলে বসিয়ে নিন ঘরের ভিতর রাখার মতো কোনও গাছ। জঞ্জাল তো কমবেই, সঙ্গে পাবেন প্রচুর অক্সিজেন।
৭। ভাঙা বাথটব ঘরে থাকলে, তা ফেলে না দিয়ে একটু কুশন আর গদি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার সোফা।