আরশোলা জব্দ করুন। ছবি: সংগৃহীত।
হেঁশেলে গিয়ে মাসকাবারি জিনিসের কৌটো সরাতেই, কোথা থেকে একটা আরশোলা বেরিয়ে এল। রান্নাঘরে অনেকেরই আরশোলার সঙ্গে মোলাকাত হয়েই থাকে। আরশোলার উপদ্রব বারোমাসের। তবে বর্ষায় যেন ওরা বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। কোনও কিছুকেই ভয় পায় না। তা ছাড়া কীটনাশক দিলেও আরশোলার মৃতদেহ খুঁজে বার করা আর এক ঝক্কি। তার চেয়ে অন্য উপায় বার করতে হবে। এমন ব্যবস্থা করুন, যাতে আরশোলা হেঁশেলের চৌকাঠ পেরোতে না পারে। কী করবেন?
হেঁশেল পরিষ্কার রাখুন
নোংরা জায়গা হল আরশোলার আঁতুরঘর। তাই হেঁশেলে কোনও নোংরা জমিয়ে রাখবেন না। ময়লা রাখার বালতি যেন আলগা না থাকে। ঢাকনা না থাকলে কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখুন। রান্না করার পর হেঁশেল পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। সব্জির খোসা, মাছের আঁশ, মাংসের রক্ত যেন হেঁশেলে না থাকে। হেঁশেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে আরশোলা ঝামেলা করবে না।
খাবার বাইরে রাখবেন না
খাবারের খোঁজেই রান্নাঘরে কীটপতঙ্গরা ঘোরাফেরা করে। তাই শুকনো হোক কিংবা রান্না করা খাবার, কখনও আলগা অবস্থায় রাখবেন না। সব সময় ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। সব্জি, ফলও বাইরে রেখে দেবেন না। ফ্রিজে রাখতে না চাইলে অন্য কোনও পাত্রে রাখতে পারেন।
গুছিয়ে রাখুন
রান্নাঘর শুধু পরিষ্কার রাখলেই হবে না, জিনিসপত্রও গুছিয়ে রাখতে হবে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখলে আরশোলার আনাগোনা বাড়তে পারে। ব্যবহার করা হয়ে গেলে কৌটো, বাসন এবং বাকি জিনিসপত্র নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। যত্রতত্র ফেলে রাখলে আরশোলা ছাড়া অন্যান্য কীটপতঙ্গের উপদ্রবও বাড়তে পারে।
ঘরোয়া টোটকা
আরশোলা তাড়াতে যে সব সময় কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে, তার কোনও মানে নেই। ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়েও আরশোলা বিদায় করা যায়। যেমন, তেজপাতার গন্ধে আরশোলা পালাবে। আবার কিছু এসেনশিয়াল অয়েলও মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে। টি ট্রি অয়েল, পেপারমিন্ট অয়েল রান্নাঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিলে আরশোলা আসতে পারবে না।
ReplyForward