এক কেটলিতেই নানা রান্না হতে পারে।
বাড়ি থেকে দূরে থাকেন। কম জিনিসপত্র নিয়ে ছোট্ট সংসার। একার। নিজের জন্য বিশেষ কিছু রান্না করতেও ইচ্ছা করে না। মনে হয় যত কম সময়ে রান্নার ঝামেলা চুকিয়ে ফেলা যায়। এ দিকে, রোজ রোজ সেদ্ধ খেয়েও বিরক্ত।
এমন একার হেঁশেলেও কিন্তু মুখরোচক খাবার বানানো যায়। একটি বৈদ্যুতিক কেটলি থাকলেই যথেষ্ট। তিনটি খাবার চটজল্দি বানিয়ে নিতে পারেন সেই কেটলিতে।
কোন খাবার, কী ভাবে বানাবেন?
পোলাও: বৈদ্যুতিক কেটলিতেই রোজ আলু সেদ্ধ, ডিম সেদ্ধ আর ভাত বানান। তাই তো? সেই কেটলিতেই কিন্তু দিব্যি ছুটির দিনে পোলাও বানিয়ে নিতে পারেন। আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন বাসমতি চাল। তার পর কেটলিতে বিন্স, গাজর, পেঁয়াজ, টম্যাটো আর লঙ্কা কুচি অল্প ঘিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। দিয়ে দিন গরমমশলা গুঁড়ো। সব শেষে চাল দিয়ে মিশ্রণটি আবার নাড়াচাড়া করুন। তার পর জল দিয়ে কেটলি ঢেকে দিন। মিনিট ২০ রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে পোলাও।
কেটলিতেই তৈরি করে ফেলুন এক জনের খাওয়ার মতো পোলাও।
ডিমের ভুরজি: ডিম সেদ্ধ অনেকেই করেন। তাই বলে কেটলিতে ভুরজি! কাজটি কিন্তু সহজ। কেটলি চালু করুন। অল্প মাখন দিয়ে তা গলিয়ে নিন। এ বার মাখনের মধ্যে লঙ্কা কুচি আর জিরে দিন। অল্প নাড়াচাড়া করে তার মধ্যে দিয়ে দিন পেঁয়াজ কুচি। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে তিন-চারটি ডিম ফাটিয়ে দিয়ে দিন। একটি চামচ দিয়ে ঘেঁটে দিন। এর পর অল্প দুধ দিয়ে আবার নাড়ুন। তৈরি হয়ে যাবে ভুরজি।
পায়েস: মিষ্টিমুখ করতে চাইলে সে ব্যবস্থাও রয়েছে। কঠিন কাজ নয়। বৈদুতিক কেটলিতে কম সময়ে পায়েস বানিয়ে ফেলাই যায়। এক জনের জন্য বেশ সহজেই হয়ে যেতে পারে। কয়েক কাপ দুধ একটি কেটলিতে দিয়ে দিন। এ বার তাতে এলাচের গুঁড়ো আর চিনি দিন। দুধ খানিকটা ফুটলে একমুঠো গোবিন্দভোগ চাল ফেলে দিন তাতে। মিনিট কুড়ি চালু রাখুন কেটলি। মাঝেমাঝে ঢাকা খুলে নাড়তে থাকুন। এক জনের খাওয়ার মতো পায়েস তৈরি হবে কেটলিতেই।