ঘরের যে কোনও দাগছোপ তোলার সহজ উপায় কী? ছবি: ফ্রিপিক।
ঘরদোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে কে না ভালবাসে। পুজোর সময়ে আরও বেশি করে তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। কিন্তু ঘরের প্রতিটি কোণা পরিষ্কার রাখা মুখের কথা নয়। যেমন ধরা যাক, দেওয়ালে কোনও কিছুর ছাপ লেগে গেল অথবা ফ্রেমে বাঁধানো নতুন ছবিটা লাগাতে গিয়ে দেওয়ালে ছিদ্র হয়ে গেল— এমন সমস্যায় প্রায়ই হয়ে থাকে। তা ছাড়া আয়নায় জলের দাগ, বেসিনে হলদেটে ছোপ, জানলার কাচে ধুলো জমে যাওয়ার মতো সমস্যা থাকেই। তাই একটু নিয়ম মেনে চললে ঘর পরিচ্ছন্ন রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়।
ঘরের মেঝে রোজই পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু সোফার পিছন দিক অথবা খাটের নীচ দিনের পর দিন ব্রাত্যই থেকে যায়। তাই ওই জায়গাগুলিতে পুরু ধুলোর স্তর জমে যায়। এই ধরনের জায়গা পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে ভ্যাকুয়ম ক্লিনার দিয়ে আলগা ধুলো পরিষ্কার করে নিন। এ বার একটি বালতিতে জল নিয়ে তাতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে ঘরের কোণাগুলি মুছে নিন। এর পর পরিষ্কার জলে ফিনাইল মিশিয়ে আরও একবার মুছতে হবে। তা হলেই চকচক করবে ঘর।
জানলার কাচে বা আয়নায় দাগ লেগে গেলে বা জলের ছাপ পড়লে, তা পরিষ্কার করার উপায় আছে। ভিনিগার ও জলের মিশ্রণ দিয়েই মুছতে পারেন কাচ। খুব তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হবে। তার পর নরম সুতির কাপড় দিয়ে শুকনো করে মুছে নিতে হবে।
বাথরুমের বেসিনে সারা ক্ষণ জল পড়ে হলুদ দাগ হলে ভিনিগার বা অর্ধেক লেবু দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। বেসিনে যদি মরচের মতো দাগ পড়ে যায়, তা হলে লেবুর মধ্যে কিছুটা নুন দিয়ে ওই অংশ ভাল করে ঘষে নিন।
ঘরের যে বাহারি আলোগুলি আছে সেগুলিও নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয়। প্রতি দিন এক বার করে হালকা সুতির কাপড় দিয়ে ল্যাম্পশেডটি পরিষ্কার করুন। রাস্তার পাশে বাড়ি হলে ধুলো জমে যায় বেশি। তাই ল্যাম্পশেডের প্রতিটি কোণ ভাল করে মুছে নেওয়া জরুরি। বাহারি মোমদানি যদি থাকে, তা হলে একটু সতর্ক হয়ে পরিষ্কার করতে হবে। কাচের বাহারি জার বা পাত্র থেকে পুরনো মোম আগে ছুরি দিয়ে আলগা করুন। তার পর জারে গরম জল ঢেলে দিন। মোম গলে ভেসে উঠলে তা পরিষ্কার করে নতুন মোম ভরে রাখুন।