ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করে, ঘর ঠান্ডা রাখে। ছবি: সংগৃহীত।
গরম বাড়ছে। চড়া রোদে রাস্তায় বেরোলে ঝলসে যাচ্ছে চোখমুখ। বাড়িতেও স্বস্তি নেই। দুপুরের গনগনে রোদে হাঁসফাঁস অবস্থা। বাড়িতেও যেন টেকা দায় হয়ে যাচ্ছে। অগত্যা ভরসা পাখা ও বাতানুকূল যন্ত্র। কিন্তু কতক্ষণ আর যন্ত্রের কৃত্রিম ঠান্ডা ভাল লাগে! বেশিক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালিয়ে রাখলেই ঠান্ডাগরম লেগে যাওয়ার ভয় আছে। তাই প্রাকৃতিক উপায়েই ঘরের পরিবেশ শীতল রাখা বেশি জরুরি। তার জন্য অনেক উপায় আছে, যেমন গাঢ় রঙের পর্দার ব্যবহার, জানলায় আগেকার দিনের মতো খসখস টাঙানো, আর গাছপালা লাগানো। ঘরের ভিতরেই বেড়ে উঠতে পারে এমন কয়েকটি গাছ আছে যারা বাতাস পরিশুদ্ধ তো করেই, ঘরও ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
ঘর ঠান্ডা রাখতে কী কী গাছ লাগাবেন?
পিস লিলি
লম্বাটে, চকচকে পাতার গাছটি আদতে দক্ষিণ আমেরিকার বৃষ্টি অরণ্যের বাসিন্দা হলেও এর কদর বিশ্ব জুড়েই। গাঢ় সবুজ পাতার সঙ্গে দুধসাদা ফুল গাছটির বৈশিষ্ট্য। ফুল তাজা থাকে ২-৩ সপ্তাহ। সাদা ফুলের জন্যই এ গাছের অন্য নাম পিস লিলি। এই গাছ ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখে। ঘর ঠান্ডাও রাখে। সঙ্গে এনে দিতে পারে একরাশ স্নিগ্ধতাও। জানলার পাশে কম রোদে এই গাছ রাখতে পারেন। বেশি রোদ লাগানো চলবে না, বেশি জলও দেবেন না। একবার জল দেওয়ার পর মাটি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে তবেই আবার জল দেবেন।
অ্যালো ভেরা
এই জাতীয় গাছ ক্যাকটাস জাতীয়। অর্থাৎ অল্প জলে, শুকনো আবহাওয়াতেও অ্যালো ভেরা ভাল থাকে। আর পাঁচটা ঘরোয়া গাছের মতোই সামান্য যত্নআত্তি নিলেই অ্যালো ভেরা বেড়ে ওঠে সহজে। এই গাছ বাতাস থেকে ফর্মালডিহাইড টেনে নিতে পারে। ফলে বাতাস পরিশুদ্ধ হয়। ঘর অনেক বেশি শীতল থাকে। অ্যালো ভেরার সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার অন্যতম শর্ত হল আলো আর কম জল। টবের মাটি শুকিয়ে খটখটে হয়ে গেলে তবেই জল দিতে হবে। মাটি ভেজা থাকাকালীনই আবার জল দিলে গাছের গোড়ায় জল জমে পচন ধরতে শুরু করবে।
স্নেক প্ল্যান্ট
ঘরের বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড ছেঁকে নিয়ে বিশুদ্ধ অক্সিজেন দেয় এই গাছ। স্নেক প্ল্যান্ট রাখলে ঘরের পরিবেশ শীতল থাকে। এই গাছ খুব কম জলে বাঁচে। বেশি আলোরও প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে একদিন বা কোনও কোনও সময়ে দশ দিনে একবার জল দিলেও চলে।
এরিকা পাম
গাছের উজ্জ্বল সবুজ রং ঘরে আনে প্রাণের স্পর্শ। এই গাছ প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরঠান্ডা রাখতে পারে। বহু দিন বাঁচে এই গাছ। যত্নেরও বিশেষ বালাই নেই। গাছ যখন বড় হয়ে যায়, তখন শুধু তার আধার অর্থাৎ টবটি বদলে দিতে হয় এবং নীচের দিকের পাতাগুলো ছেঁটে দিতে হয়। এরিকা পামের বড়-বড় সবুজ পাতা ঘরে স্নিগ্ধ অনুভূতি এনে দেয়।