কম খরচেই বদলে ফেলুন শোয়ার ঘরের সাজ। ছবি: শাটারস্টক।
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা, বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ, জীবনের নানা রকম জটিলতা— সব কিছু সামলাতে গিয়ে দাম্পত্য জীবনের প্রতি কোথাও একটা অবহেলা না-চাইতেও করে বসেন অনেকে। বিয়ের পর যত দিন কাটতে থাকে, দাম্পত্য জীবনের রসায়নও যেন বদলাতে শুরু করে। দাম্পত্যে উষ্ণতা ফিরিয়ে আনতে অনেকে অনেক রকম প্রচেষ্টাই করেন। এর জন্য কেউ বেড়াতে যান, কেউ সঙ্গীকে সারপ্রাইজ় দেন, কেউ আবার সঙ্গীর জন্য উপহার কিনে আনেন। কিন্তু কেবলমাত্র শোয়ার ঘরে সামান্য বদল এনে দেখতে পারেন, কীভাবে দাম্পত্য জীবনে রং ফিরে আসে।
বাড়ির ভোলবদলের কথা বললেই সবার আগে মাথায় আসে বসার ঘরের অন্দরসজ্জার কথা। তবে শোয়ার ঘরটিকেও কিন্তু অবহেলা করলে চলবে না। কারণ বাড়িতে ঢোকার পর ওই ঘরটিতেই আমাদের সবচেয়ে বেশি সময় কাটে। শোয়ার ঘরে কী ভাবে কম খরচেই বদল আনতে পারেন, রইল তার হদিস।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় নজর: বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় তাড়াহুড়ো থাকলেও, শোয়ার ঘরটি কখনওই অপরিষ্কার রেখে যাবেন না। তাই খাটের উপর তোয়ালে, ঘরের এক পাশে নোংরা মোজা, অগোছালো ড্রেসিং টেবিল রাখার অভ্যাস সবার আগে বদলে ফেলুন। ঘর যত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন, পরিবেশ ততই রোম্যান্টিক হবে। মন-মেজাজও ভাল থাকবে।
বিছানার সাজ: রং ওঠা চাদর মোটেই পাতা চলবে না বিছানায়। উজ্জ্বল রং, যেমন— লাল, গোলাপি, নীল রঙের চাদর পাতা যেতে পারে। হালকা রং পছন্দ হলে সাদা কিংবা প্যাস্টেল শেডের চাদরও বেছে নিতে পারেন। বিছানার উপর কয়েকটি নরম বালিশ, বিছানার চাদরের সঙ্গে মানানসই রঙের কমফর্টার রাখতে ভুলবেন না। বিছানার উপর কোনও জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখবেন না।
শোয়ার ঘরে কী ভাবে কম খরচেই বদল আনতে পারেন, রইল তার হদিস। ছবি: সংগৃহীত।
সুগন্ধির ব্যবহার: শোয়ার ঘরে রোম্যান্টিকতার ছোঁয়া আনতে সুগন্ধির উপর নির্ভর করাই যায়। একটা বড় পাত্রে খানিকটা জল রেখে তার উপর গোলাপের কয়েকটি পাপড়ি ছড়িয়ে ল্যাভেন্ডার, জ্যাসমিন ইত্যাদির গন্ধযুক্ত ‘এসেনসিয়াল’ তেল ছড়িয়ে দিতে পারেন। এ ছাড়া, সুগন্ধি মোমবাতি কিংবা টাটকা ফুলও ব্যবহার করতে পারেন।
গান শোনার ব্যবস্থা: মনমেজাজ ভাল রাখতে কিন্তু গানের উপর নির্ভর করতেই পারেন। শোয়ার ঘরে ঢুকে সারা দিনের ক্লান্তি মেটাতে চাইলে, একটা রোম্যান্টিক গান চালিয়ে দেখুন, বেশ উপকার পাবেন। দু’জনে মিলে একান্ত মুহূর্ত কাটানোর সময়েও গান চললে বেশ ভালই লাগে। তাই শোয়ার ঘরে একটা ব্লুটুথ স্পিকার রাখা যেতেই পারে।
আলো-আঁধারি পরিবেশ: ডিম লাইট, মোমবাতির আলো, টুনির আলো— ঘরের পরিবেশ বদলে ফেলার জন্য যথেষ্ট। ঘনিষ্ট মুহূর্তে আলো-আঁধারির পরিবেশটা জমবে ভালই।