কয়েকটি বিষয়ে একটু বাড়তি মনোযোগ দিলেন আপনার রান্নাঘর থাকবে ঝকঝকে। প্রতীকী ছবি।
বাড়ির অন্যতম অংশ হল রান্নাঘর। বাড়িঘর যত্নে রাখার পাশাপাশি রান্নাঘরেরও সাফসুতরো রাখা প্রয়োজন। হেঁশেল এবং অফিস— অনেকেই এক হাতে সামলান। ফলে রোজ রান্নাঘর পরিষ্কার করার সময় পর্যন্ত পাওয়া যায় না। রান্নাঘর মানেই তেল, জল, হলুদের ছড়াছড়ি। একটু যত্ন না নিলে রান্নাঘরের বেহাল দশা হবে। কয়েকটি বিষয়ে একটু বাড়তি মনোযোগ দিলেন আপনার রান্নাঘর থাকবে ঝকঝকে।
রান্নাঘর সাফসুতরো রাখতে কোন দিকগুলিতে বেশি নজর দেবেন?
১)প্রথমেই রান্নাঘরের ডাস্টবিন আলাদা করে ফেলুন। শুকনো ও তরল আবর্জনার জন্য দু’রকম ডাস্টবিন ব্যবহার করুন। যে সব জিনিস পচনশীল, সেগুলি রান্নাঘরে ডাস্টবিনে না ফেলে বাইরে ময়লা ফেলার জায়গায় ফেলুন।
২) বাসন মাজার স্পঞ্জ প্রতি সপ্তাহে বদলে নিন। দরকারে বাসন মোছার তোয়ালেও বদলান প্রতি তিন-চার দিন অন্তর। যেগুলি ব্যবহার করছেন কাজের পর রোজ কেচে ফেলুন।
যত্ন না নিলে রান্নাঘরের বেহাল দশা হবে। প্রতীকী ছবি।
৩) বাড়িতে বাঁধাকপি বা মুলো রান্না হলে এ সব সেদ্ধ করার সময় জলে এক টুকরো পাতিলেবু দিয়ে দিন। মাছ রান্না হলে একটা আঁশটে গন্ধ ঘরময় ঘুরে বেড়ায়। তা সরাতে জলপাই তেলের সঙ্গে এক টুকরো দারচিনি দিয়ে কিছু ক্ষণ ফোটান। নিমেষে গায়েব হবে দুর্গন্ধ।
৪) রান্নাঘরের বেসিন ও সিঙ্ক পরিষ্কার রাখুন। রান্না হয়ে গেলে লিক্যুইড সোপ দিয়ে বেসিন ধুয়ে নিন। খানিকটা ভিনিগার ও বেকিং সোডা দিয়েও ধুতে পারেন।
৫) অনেকের বাড়িতেই রান্নাঘরে ফ্রিজ থাকে। ফলে রান্নাঘরে দুর্গন্ধ এড়াতে ফ্রিজ পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজ পরিষ্কার রাখতে কয়েক কুচি পাতিলেবু পাতা রেখে দিন ফ্রিজের ভিতর। খাবারদাবার বেশি দিন রাখবেন না। রাখলেও লক্ষ রাখুন ফ্রিজের চালু রয়েছে কি না। বন্ধ হয়ে গেলে পচে যাবে।