ফ্রিজের ভিতরটা পরিপাটি করে সাজাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
ভিতরে রকমারি খাবার থরে থরে সাজানো। টাটকা ফল, ভাত-রুটি, চকোলেট। জায়গার জিনিস জায়গায়। বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনে ফ্রিজের ভিতরের এমন ঝলক মাঝেমধ্যে দেখা যায়। ফ্রিজের বিজ্ঞাপনে যে সমস্ত ছবি দেওয়া হয়, সেখানেও এমনটা চোখে পড়ে। কিন্তু বাস্তবে কি তেমন হয়?
বহু বাড়িতেই ফ্রিজ খুললে দেখা যাবে, সব্জি, মাখন, জিনিসপত্র যেন উপচে পড়ছে। অগোছালো জিনিসপত্র। কিন্তু চাইলে ফ্রিজের মধ্যে জিনিসপত্র এমন ভাবে সাজিয়ে ফেলতে পারেন, যাতে তাক লেগে যায়, কাজেও সুবিধা হয়।
ফ্রিজের ভিতরের জিনিসপত্র কার্যত শৈল্পিক ভাবে সাজিয়ে তোলার প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ‘ফ্রিজস্কেপিং’। এ নিয়ে এখন সমাজমাধ্যমে চর্চা বেশ নজরে পড়ছে। বাড়ির বাগানে রকমারি সব্জি, ফুল চাষ করলে সেটি যেমন দেখতে লাগবে, এ ক্ষেত্রে ফ্রিজের ভিতরটিও তেমন সুন্দর লাগে। এর উদ্দেশ্যই হল জিনিসপত্র এমন ভাবে সাজিয়ে তোলা যাতে সেগুলি দেখতে ভাল লাগে, আবার হাতের কাছেও মেলে।
পরিষ্কার: শুরুটা করুন ফ্রিজ খুব ভাল ভাবে পরিষ্কার করে। কারণ, পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে স্বাস্থ্যের সম্পর্ক রয়েছে। না হলে, এই ফ্রিজ থেকেই রোগ ছড়াতে পারে।
এক জিনিস এক জায়গায়: ফ্রিজের প্রতিটি জায়গায় নির্দিষ্ট জিনিস রাখুন। ফল, সব্জি আলাদা ভাবে বাক্সে রাখতে পারেন। আবার দই, চিজ়, মাখন— একই জায়গায় রাখতে পারেন। এতে জিনিস গোছানো থাকবে, খুঁজতেও সুবিধা হবে।
আলাদা বাক্স: শুকনো খাবার, বেঁচে যাওয়া খাবার, পরের দিনের জন্য রেখে দেওয়া খাবার, আলাদা বড় বাক্স রেখে তার মধ্যে কৌটোয় ভরে রাখলে ব্যবহার করতে সুবিধা হবে।
বোতল: জলের বোতল, রকমারি স্স ফ্রিজের পাল্লায় নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে পারেন। তবে যদি তা ফ্রিজে রাখতে হয়, তা হলে বড় থেকে ছোট সাজিয়ে নিন। একদম পিছনে লম্বা বোতল, তার সামনে অপেক্ষাকৃত ছোট বোতল।
দেখনদারি: দেখতে যাতে ভাল লাগে, সে জন্য স্বচ্ছ বাক্সে স্ট্রবেরি, আপেল, কমলালেবুর মতো বিভিন্ন রঙিন ফল সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন। বিভিন্ন সব্জিও সুন্দর ভাবে রাখলে একনজরে দেখতে বেশ লাগবে। তবে শুধু স্বচ্ছ নয় ফ্রিজস্কেপিং-এ জিনিসপত্র রাখার জন্য রকমারি রঙিন বাক্স, ঝুরি ব্যবহার হয়। এমনকি খাওয়া যায় এমন ফুলও সেখানে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এক কথায়, ফ্রিজের অন্দরসজ্জা হবে এমন যাতে পাল্লা খুললেই মন ভাল হয়ে যায়।