ছবি: সংগৃহীত
শরৎকালে মা আসেন সপরিবারে। সেই থেকে বাঙালির উৎসবের শুরু। তারপর একে একে আসেন লক্ষী, কার্তিক। আর এবার পালা সরস্বতীর। রাত পোহালেই বসন্ত পঞ্চমী। সরস্বতী পুজো। বাঙালির নিজস্ব ভালবাসার দিন। সরস্বতী পুজোর ক্ষেত্রে দুর্গাপুজোর সেই বিশাল জাঁকজমক হয়তো থাকে না, তবে বাগ্দেবীর আরাধনা একেবারে আড়ম্বরহীনতায় মন সায়ও দেয় না। বাংলার প্রায় প্রতিটি ঘরেই আবালবৃদ্ধবনিতা সরস্বতী পুজোর আনন্দে মেতে উঠবেন। তার আগে ঘরবাড়িও তো মনের মতো করে সাজানো চাই। সরস্বতী পুজোর আবহে কী ভাবে সাজাবেন ঘর?
রঙিন আলপনা আঁকুন
শৈশবে সরস্বতী পুজোর কথা বলতেই অনেকের চোখের সামনে ভেসে উঠবে স্কুলে আলপনা দেওয়ার স্মৃতি। ইদানীং ‘এই সব পাওয়া যায়’-এর শহরে প্লাস্টিকের স্টিকার দেওয়া আলপনাও কেনা যায় দোকান থেকে। এই সরস্বতী পুজোতে না হয় সেই সব কৃত্রিমতা দূরে রেখে আগের দিন রাতে খড়িমাটি ভিজিয়ে পুজোর সকালে ঠাকুরের সামনে, দরজার সামনে, বারান্দায় আপন মনের কল্পনা মিশিয়ে এঁকে ফেলুন আলপনা। সাদা আলপনার মাঝে রাখতে পারেন অন্যান্য রঙের ছোঁয়া। ভাল লাগবে।
ছবি: সংগৃহীত
ঠাকুরের মণ্ডপ সাজান সুন্দর করে
অনেকেই আছেন যাঁরা ঠাকুরের একটু বড় মূর্তি পছন্দ করেন। ঘর জুড়ে আলো করে থাকবেন সরস্বতী। ঠাকুরের মূর্তির চারপাশ খালি না রেখে থার্মোকল দিয়ে সাজিয়ে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে ফেলুন। থার্মোকল কেটে হাঁস, ফুল, আরও বিভিন্ন নকশা তৈরি করতে পারেন। পলাশ ফুলের মালা গেঁথেও এর সঙ্গে ঝুলিয়ে দিতে পারেন।
দেওয়াল সাজান রঙিন করে
নানা রঙের কাগজ একই মাপে লম্বা করে কেটে দেওয়ালে টাঙিয়ে দিন। শীতের পারদ খানিক উঠলেও উত্তুরে হাওয়া ওঠে মাঝেমাঝেই। সেই হাওয়ায় কাগজগুলি মাঝেমাঝে দুলে উঠলেই ফিরে যেতে পারেন ছোটবেলায়।
আলোকসজ্জার দিকে নজর দিন
সযত্নে রাখা টুনি বাল্বগুলি বার করে ঠাকুরের মণ্ডপের চারপাশ, দেওয়াল, বারান্দার গ্রিলের কার্নিশে ঝুলিয়ে দিন। পুজোর সন্ধেবেলায় বাড়িটা বেশ আলো আলো হয়ে উঠবে। দিনের বেলার জন্য এলইডি বাল্বও লাগাতে পারেন।
বইপত্র, বাদ্যযন্ত্রগুলি গুছিয়ে রাখুন
বই, বাদ্যযন্ত্রগুলি গোছানো থাকলেও শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসাবে আরও এক বার চোখ বুলিয়ে নিন। ঠাকুরেপ পায়ে বই-খাতা বা বাদ্যযন্ত্রগুলি অর্পণ করার পরে সযত্নে সেগুলি তুলে রাখুন।