—প্রতীকী ছবি।
রান্না ভাল হয় মশলার গুণে। কিন্তু মশলা মানেই কি শুধু পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা? তা তো নয়। কারণ রান্নায় কিছু ভেষজ মশলাও ব্যবহার করা হয়। পুদিনা পাতা, কারিপাতা রান্নায় দিলে একঘেয়ে স্বাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু নুন, হলুদ, জিরে যেমন সব সময়ে রান্নাঘরে মজুত থাকে, এগুলি তো থাকে না। হাতের কাছে না থাকার কারণে ইচ্ছা মতো ব্যবহারও করা হয় না। তবে আলাদা করে এ ধরনের জিনিস মজুত করে রাখার চেয়ে বাড়িতেই ছোটখাটো একটা বাগান তৈরি করে নিতে পারেন। ‘কিচেন গার্ডেন’ করতে কিন্তু বিশেষ জায়গার দরকার পড়বে না। জানলার তাকে কিংবা বারান্দার এক ফালি জায়গাতেই তৈরি করতে পারেন। তবে বাগান যেন বেশি ঘিঞ্জি না হয়ে যায়। যেগুলি রোজ প্রয়োজন হয়, তেমন কয়েকটি চারা কিনে আনুন।
পুদিনা
দই দিয়ে চাটনি হোক কিংবা ফিশ ফ্রাইয়ের ম্যারিনেশন— পুদিনা ব্যবহার করা হয় বেশ কয়েকটি রান্নায়। পুদিনার স্বাদ এবং গন্ধ এত সতেজ যে মন ভাল হয়ে যায়। বাড়িতেই কিন্তু পুদিনা ফলাতে পারেন। বাজার থেকে পুদিনা পাতা কিনে এনে গোড়াগুলি ভাল করে কেটে অল্প জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন টবে কিংবা অন্য কোনও ছড়ানো বাটিতে অল্প মাটি রেখে তাতে পুঁতে দিন। গাছটি এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে পর্যাপ্ত আলো পাওয়া যায়।
কারিপাতা
দক্ষিণী রান্নায় কারিপাতা দেওয়ার চল থাকলেও বাঙালি খাবারেও এই পাতা ব্যবহার করা হয়। মুসুর ডাল কিংবা কোনও তরকারিতে কারিপাতা দিতে পারেন। খেতে ভাল লাগবে। কারিপাতার গাছ বেশ বড় হয়। তবে ছেঁটে রাখলে বারান্দার টবে রাখতে পারেন। কারিপাতার বীজ কিনে টবে ছড়িয়ে দিলেই দিব্যি গাছ হয়ে যাবে।
পেঁয়াজ পাতা
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা হয় ‘স্প্রিং অনিয়ন’। পেঁয়াজের মতো এর পাতাও বেশ স্বাস্থ্যকর। রান্নায় দিলে স্বাদও বদলে যাবে। তবে পেঁয়াজ পাতা সব সময়ে বাজারে মেলে না। তার চেয়ে বাড়িতেই ফলিয়ে নিতে পারেন এই উপকরণ। বাজার থেকে ছোট ছোট পেঁয়াজ কিনে এনে শেকড়ের অংশ-সহ টবে পুঁতে দিন। ক’দিনেই পেঁয়াজ গাছ বেরোবে। পাতার অংশ কেটে রান্নায় ব্যবহার করুন। রান্নার স্বাদ আর গন্ধ দারুণ হবে।