গাছপালায় পোকা দূর হবে খুব তাড়াতাড়ি, উপায় কী? ছবি: ফ্রিপিক।
শখের বারান্দা সাধ করে গাছপালা দিয়ে তো সাজিয়েছেন, কিন্তু হঠাৎই বিপত্তি! গাছগুলোয় পোকা ধরেছে। ছোট ছোট পোকাগুলি গাছের পাতা খেয়ে নিচ্ছে! পুরো গাছটারই মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বাজার থেকে কেনা রাসায়নিক ব্যবহার করতে যদি না চান, তা হলে অন্য উপায় আছে। ঘরোয়া উপাদানেই পোকামাকড় দূর হবে অল্প দিনে।
বর্ষার সময়টাতে গাছপালায় খুব তাড়াতাড়ি পোকামাকড় ধরে যায়। বারান্দা, বাগান বা ছাদে যত্ন করে যে গাছগুলি লাগিয়েছেন, সেগুলিতে যদি পোকা ধরে যায়, তা হলে কেমন লাগে বলুন! আর ছোট ছোট পোকা খুব তাড়াতাড়ি গাছের পাতা কেটে শেষ করে দেয়। গাছ শুকিয়ে যেতে থাকে, পাতা হলুদ হয়ে যায়। এ দিকে রাসায়নিক কীটনাশক দিয়ে পোকামাকড়ের উৎপাত কমবে ঠিকই, তবে বাড়িতে শিশু বা পোষ্য থাকলে তা ব্যবহার করা একেবারেই ঠিক নয়। সে ক্ষেত্রে জৈব উপাদানেই ভরসা রাখা উচিত। নিম তেল সে দিক থেকে খুবই কার্যকরী হতে পারে।
মনে রাখবেন, নিম তেল কিন্তু প্রাকৃতিক কীটনাশক। এতে পোকামাকড় ও ছত্রাক দূর করার ক্ষমতা আছে। তাই গাছে পোকা লাগার সামাধান করতে একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিম তেল স্প্রে করুন গাছে।
পোকামাকড়ের বৃদ্ধি ও প্রজননে বাধা দেয় নিম তেল। গাছে যদি ছত্রাকজনিত রোগ হয়, তা হলেও কার্যকরী হতে পারে নিম তেল। ঘরে রাখার গাছ হোক বা ফুল বা ফলের গাছ— যে কোনও গাছের জন্যই নিম তেল কার্যকরী। তবে কয়েক প্রজাতির গোলাপ, জবা, ফার জাতীয় গাছে নিম তেল দেওয়া উচিত নয়।
কী ভাবে নিম তেল ব্যবহার করবেন?
এক লিটার জলে হাফ চা চামচ বাসন মাজার সাবান মিশিয়ে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন।
এ বার সেই সাবানজল একটি স্প্রে বোতলে ভরে তাতে কয়েক ফোঁটা নিম তেল মেশান।
এই মিশ্রণ আগে গাছের একটি পাতায় হালকা করে স্প্রে করে দেখুন। যদি দেখেন, পাতার কোনও ক্ষতি হয়নি, তা হলে গাছে স্প্রে করুন।
রোজ রোজ স্প্রে করবেন না। আগে গাছে হালকা করে নিম তেল স্প্রে করে দেখতে হবে তা কতটা কার্যকরী হচ্ছে। তার পর নিয়ম করে দেওয়া শুরু করুন।
নিমপাতাও গাছের পোকামাকড় মারতে পারে। নিমের তিক্ত স্বাদ এবং তীব্র গন্ধ রয়েছে, যা গাছপালা থেকে পোকামাকড় দূরে রাখতে পারে। নিমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে তা গাছের গোড়ায় দিয়ে রাখুন। রাতে নিম পাতা জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সকালে সেই জল গাছে ছিটিয়ে দিন। দেখবেন গাছের পোকামাকড় তাড়াতাড়ি দূর হবে।