জবাগাছে পোকা ধ্বংস হবে ঘরোয়া উপায়ে। কী ভাবে বানাবেন কীটনাশক? ছবি:ফ্রিপিক।
লাল, হলুদ, গোলাপি রঙের রকমারি জবা ফুটে থাকলে, বাগানের সৌন্দর্যই বেড়ে যায়। এমনিতে এই গাছের জন্য খুব বেশি যত্নের দরকার না হলেও, মাঝেমধ্যে হানা দেয় পোকামাকড়। তার জেরে কমে যেতে পারে ফুলের সংখ্যা। গাছের স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ে।
গরমের দিনে তো বটেই অন্য মরসুমেও গাছে দেখা দিতে পারে মিলিবাগ-সহ বিভিন্ন পোকামাকড়। তবে বাজারচলতি রাসায়নিক নয়, সামান্য কয়েকটি উপকরণ জোগাড় করে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন কীটনাশক। কী ভাবে বানাবেন, বলছেন গোরক্ষপুরের এক উদ্যানপালক ব্রহ্মদেব কুমার। তাঁর কথায়, ‘‘এই সমস্ত পোকামাকড় গাছের রস শুষে নেয়, ফলে গাছ শুকিয়ে যেতে থাকে।’’
কী ভাবে তৈরি করবেন কীটনাশক?
প্রথম ধাপে, একটি পাত্রে কয়েক মুঠো নিমপাতা নিয়ে জলে সেদ্ধ করে নিন। ফুটে ফুটে জলের পরিমাণ অর্ধেক হলে আঁচ বন্ধ করে দিন। জলটি ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে বোতলে ভরে নিন। রোদে নয়, ছায়ায় বা ঘরের ভিতরে সেটি রাখতে হবে। ২-৩ মাস এই জল কাজে লাগানো যাবে।
দ্বিতীয় ধাপে, বেশ কিছুটা রসুন বেটে জলে মিশিয়ে নিন। কয়েক ঘণ্টা রেখে জলটি ছেঁকে নিম জলের সঙ্গে সেটি মেশাতে হবে।
তৃতীয় ধাপে, দরকার একটি স্প্রে বোতলের। তার অর্ধেকটা ভরতে হবে জল দিয়ে। তার মধ্যে যোগ করুন এক চা চামচ সাদা তেল এবং তরল সাবান। জলের সঙ্গে দু’টি উপাদান ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিন। বোতলের বাকি অর্ধেক অংশে ভরে দিন নিম এবং রসুন জল। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিলেই তৈরি কীটনাশক।
আরও অন্য উপায়ে তৈরি করা যায় কীটনাশক
আদা, রসুন, কাঁচালঙ্কা দিয়েও বানিয়ে ফেলা যায় কীটনাশক। তিনটি উপকরণ বেটে জলে মিশিয়ে নিন। কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে জলটি ছেঁকে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। পোকা হলে, স্প্রে করলেই হবে।
উপায় রয়েছে আরও। এক লিটার জলে ১ চা-চামচ সাবান অথবা শ্যাম্পু গুলে গাছে স্প্রে করতে পারেন।
ব্যবহার বিধি
যে কোনও সময় নয়, কীটনাশক গাছের কাণ্ডে, পাতায় এই কী়টনাশক দিতে হবে সন্ধ্যায় অথবা রাতে।