ঘরে ধুলো জমতে দেবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
ধুলোবালির কবল থেকে বাড়িঘর রক্ষা করা যে কতটা কঠিন, যাঁরা নিয়মিত এই দায়িত্ব পালন করেন, একমাত্র তাঁরা জানেন। রাস্তার পাশে বাড়ি হলে তো কথাই নেই। সারা ক্ষণই ঘরের মধ্যে ধুলোঝড় চলে। ঘরের কোণে কোণে সেই ধুলো জমে যায়। আসবাবপত্রের গায়েও লেগে থাকে ধুলোকণা। এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যেতেই পায়ের তলায় ধুলোর পুরু আস্তরণ জমে যায়। অনেকেরই ‘ডাস্ট অ্যালার্জি’ আছে। ধুলোবালি নাকে গেলে শ্বাস নিতে কষ্ট। তাই বাড়িঘর ধুলোবালি মুক্ত রাখা জরুরি। নিয়ম করে পরিষ্কার করেও সব সময় তা সম্ভব হয় না। তাই ধুলো আটকানোর অন্য উপায় খুঁজতে হবে।
১) ঘরে যে ধুলো জমে, তার সিংহভাগটাই বাইরে থেকে আসে। তাই ঘরে যাতে ধুলো ঢুকতে না পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। তার জন্য ঘরের দরজা এবং জানলা বন্ধ করে রাখতে পারলে ভাল। বাড়ির পাশেই রাস্তা হলে সমস্যা বেশি। সে ক্ষেত্রে রাস্তার দিকের দরজা-জানলা আটকে রাখাই শ্রেয়।
২) জামাকাপড় এবং ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কাগজ থেকে তন্তু খসে উড়ে বেড়ায়। এগুলিই ধুলো হিসাবে বিভিন্ন জিনিসের উপর জমা হয়। তাই জামাকাপড় বা কাগজ এ দিক-ও দিক ফেলে রাখবেন না। নির্দিষ্ট জায়গায় গুছিয়ে রাখুন। তাতে ধুলোর পরিমাণ খানিকটা হলেও কমবে।
৩) ঘুম থেকে ওঠার পর বিছানার চাদর ঘরের মধ্যে ঝাড়বেন না। ব্যালকনিতে গিয়ে এই কাজগুলি করলে ভাল। তা হলে ঘরের মধ্যে আর ধুলো পড়বে না। তা ছাড়া বাইরে থেকে কিছু কিনে এনে সেগুলি বাইরে গিয়ে পরিষ্কার করাই শ্রেয়।
৪) বাড়িতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু তাতে হেপা ফিল্টার আছে কি না, দেখে নিন। কারণ, এই ফিল্টার ধুলোকে শোষণ করে নেয়। বাতাসে উড়তে দেয় না।