কী ভাবে তোয়ালে রাখলে দেখতেও ভাল লাগবে আবার হাতের কাছেও পাওয়া যাবে? ছবি: সংগৃহীত।
ছিমছাম সাজানো ঘর, পর্দা থেকে বিছানার চাদর সর্বত্রই রুচির ছোঁয়া। কিন্তু এমন ঘরে যদি তোয়ালে বা গামছা সঠিক জায়গায় সঠিক ভাবে না থাকে, তা হলে মানানসই হয় কি?
শুকনো তোয়ালে বা গামছা তবু ভাঁজ করে রাখা যায়। কিন্তু আধ ভিজে তোয়ালে রাখা নিয়ে সমস্যা হয় আরও বেশি। অথচ সুন্দর করে এই তোয়ালে বা গামছা রাখলে, তা কিন্তু অন্দরসজ্জার অঙ্গ হতে পারে। কী ভাবে প্রকাশ্যে বা আড়ালে রাখবেন এগুলি?
স্ট্যান্ড
এই ভাবেও মইয়ের মতো স্ট্যান্ডে সাজিয়ে রাখতে পারেন গামছা। ছবি: সংগৃহীত।
ছোট ছোট কাঠের বা ধাতব মইয়ের মতো তোয়ালে রাখার স্ট্যান্ড পাওয়া যায়। বেসিনের পাশে হোক বা স্নানঘরের বাইরে এই স্ট্যান্ডগুলি সাজিয়ে রাখতে পারেন। এতে যেমন শুকনো তোয়ালে বা গামছা ভাঁজ করে রাখা যাবে, ঠিক তেমনই ভিজে তোয়ালে শুকোনোর জন্য ঝুলিয়ে দিলেও বেমানান লাগবে না।
সুদৃশ্য রিং
বেসিনের কাছে সব সময় তোয়ালে থাকলে ভাল হয়। এখানে ব্যবহার করতে পারেন সুদৃশ্য রিং। চাইলে স্নানঘরের দেওয়ালেও রাখা যায়। এগুলি শুধু গোলাকার হয় না। চৌকো, ডিম্বাকার-সহ বিভিন্ন রকমের হয়। পছন্দমতো কোনও রিং লাগিয়ে তাতে মাপমতো সুন্দর তোয়ালে ঝুলিয়ে রাখলে ঘরের শোভাও বাড়বে, আবার কাজও হবে। আধ ভিজে তোয়ালেও খোলা অবস্থায় থাকায় শুকিয়ে যাবে।
স্নানঘরের আলমারি
পাল্লার আড়ালেও কৌশলে রাখা যায় গামছা কিংবা তোয়ালে।
স্নানঘরে দেওয়ালের সঙ্গে যদি লম্বা কোনও কাঠের বা প্লাইউডের আলমারি থাকে, তা হলে তার পাল্লার ভিতরের দিকে হুক লাগিয়ে তোয়ালে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। পাল্লাটি দিয়ে দিলে ভেতরে তোয়ালে বা গামছা থাকবে অথচ বাইরে থেকে দেখা যাবে না।
স্টিলের তাক
শুকনো তোয়ালে রাখার জন্য অনেক জায়গাই আছে। স্নানঘরে স্টিলের চওড়া তাক লাগিয়ে নিতে পারেন। তাকের উপরের দিকে শুকনো তোয়ালে বা গামছা ভাঁজ করে বা গোল করে গুটিয়ে রাখতে পারেন। আবার আধ ভিজে তোয়ালে চওড়া তাকের রড থেকে ঝুলিয়েও দিতে পারেন।
ঝুড়ি বা দেরাজ
বেসিন হোক বা স্নানঘর, দেওয়ালে শৌখিন ঝুড়ি লাগিয়ে সেখানেও সাজিয়ে রাখা যায় তোয়ালে। ছবি: সংগৃহীত।
স্নানঘরে ছোট ছোট আয়তাকার ঝুড়ি দেওয়ালে আটকে তার মধ্যেও তোয়ালে বা গামছা ভাঁজ করে রাখতে পারেন। যদি স্নানঘরে দেরাজ থাকে সেখানেও ভাঁজ করে রাখা যায়। পাশাপাশি বেসিনের সঙ্গেও দেরাজ থাকলে সেখানে তোয়ালে রাখতে পারেন।
তবে আধ ভেজা বা ভেজা তোয়ালে সব সময় কেচে রোদে শুকিয়ে নেওয়া জরুরি। না হলে তাতে দুর্গন্ধ হতে পারে। রোগজীবাণু বাসা বাঁধতে পারে।