গাঁদা গাছে কম ফুল হচ্ছে? ছবি:ফ্রিপিক।
শীতের মরসুম মানেই রংবেরঙের গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা। শখ করে হলুদ, কমলা, চিনে গাঁদার চারা এনেছিলেন। গাছ বেড়ে উঠেছে। কিন্তু ফুল হচ্ছে মোটে, একটা বা দুটো! তা-ও আকারে ছোট। গাছে জল দিচ্ছেন, দেখভালও করছেন। কিন্তু বুঝতে পারছেন না গাছ ভরা ফুল কেন হচ্ছে না? জেনে নিন কোথায় গলদ হতে পারে।
মাটি: গাছের চারা যখন বসিয়েছিলেন সেই মাটিতে কি কোনও সার ছিল? গাঁদা গাছ বসানোর সময় মাটি প্রস্তুত করতে হয়। মাটির সঙ্গে মেশাতে হয় ভার্মি কম্পোস্ট। জল যাতে না জমে, সে জন্য মিশিয়ে নিতে হয় কিছুটা বালি। সে সব ঠিকঠাক না হলে কিন্তু ফুল ভাল হবে না।
জল: গাছে প্রতি দিনই জল দিচ্ছেন নাকি? গাঁদা গাছে খুব বেশি জল লাগে না। অতিরিক্ত জল দিয়ে ফুল যেমন কমতে পারে তেমনই টবে জল জমলে, গাছের গোড়া পচে যেতে পারে। এক দিন অন্তর গাছে জল দিন। মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে তবেই জল দেওয়া দরকার।
সূর্যালোক: গাঁদা গাছটি যেখানে রেখেছেন সেখানে ঠিকঠাক রোদ পড়ে তো? এই গাছের জন্য রোদ খুব জরুরি। দিনে ছ’ঘণ্টা রোদ পেলে ফুল ভাল হবে। ছায়ায় গাছ রাখা যাবে না।
সার: অধিক সারে গাছ, ফলন দুই-ই নষ্ট হতে পারে। গাঁদা গাছ যদি ভার্মিকম্পোস্ট যুক্ত মাটিতে বসানো হয়, এক মাস সার লাগবে না। তার পর এক মাস অন্তর অল্প করে জৈব সার দিতে পারেন। খোল, হেঁশেলের সব্জির খোলা পচানো সার। এক- এক মাসে এক-একটি সার ব্যবহার করা যায়।
পোকার আক্রমণ: গাঁদা গাছে পোকার আক্রমণ হলে নিম তেলের সঙ্গে সাবান মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। অসময়ে বৃষ্টি হলে মিলিবাগের আক্রমণ হতে পারে। সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার।
ছাঁট: গাছে ভাল ফুল চাইলে শুকিয়ে যাওয়া ফুল বৃন্ত এবং ডাঁটিসমেত কাঁচি দিয়ে কেটে দিতে হবে বা ছিঁড়ে দিতে হবে। গাছটি সঠিক ভাবে ছাঁটতে হবে।