কম বাজেটে ঘর সাজাতে চান? ছবি: সংগৃহীত
অফিস থেকে ফিরেই নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ! বিছানার উপরে শুয়েই ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে ওয়েব সিরিজ় দেখা, গান শোনা কিংবা টিভি দেখা। একমাত্র খিদে পেলেই ঘর থেকে ক্ষণিকের বিরতি! খাওয়াদাওয়া সেরেই আবার শোয়ার ঘরে ঢুকে যাওয়া। অনেকেই আছেন, যাঁদের দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কাটে শোয়ার ঘরে। ফলে ঘরটা সাজানো-গোছানো থাকলে মন ভাল থাকবে।
ইনস্টাগ্রাম খুললে মনে হয়, সকলের বাড়িই যেন সুন্দর করে সাজানো। ঝকঝকে দেখতে। আপনারও ইচ্ছে করে তেমন ভাবেই শোয়ার ঘর সাজাতে। এখনই গোটা ঘরের আসবাব বদলে ফেলার মতো বাজেট নেই। তা হলে কী করে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে ঘর? একটু বুদ্ধি খাটালেই অল্প টাকায় মনের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া যাবে। জেনে নিন তেমনই কিছু ফিকির।
ঘর সাজানো-গোছানো থাকলে মন ভাল থাকবে। ছবি: সংগৃহীত
ওয়ালপেপার: দেওয়ালে নতুন রং করা শুধু খরচসাপেক্ষ নয়, ঝক্কিরও। সে ক্ষেত্রে ওয়ালপেপার কিনেই ঘরের ভোলবদল করতে পারেন। ঘরের রঙের সঙ্গে মানানসই একটি নকশা পছন্দ করে লাগিয়ে ফেলুন বিছানার ঠিক পিছনের দেওয়ালে।
কুশন-পর্দা-বেডকভার: অনেক সময়ে ছোটখাটো কিছু জিনিস বদলালেও ঘরের সাজ পাল্টে যায়। এগুলি বদলাতে আপনার বিশেষ কোনও খরচও হবে না। দু’টি প্রিন্টেড পর্দার মাঝে একটি স্বচ্ছ পর্দা বা মাটিতে একটি অন্য রকম দেখতে রংবেরঙের কার্পেট পাতলেই ঘর নতুনের মতো দেখাবে। ঘরের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বিছানার চাদর কিনুন। বিছানায় কয়েকটি রঙিন কুশন রাখতে পারেন।
আলো: ঘরের যে কোণে বসে আপনি বই পড়তে বা গান শুনতে ভালবাসেন, সেখানে একটি তুর্কি আলো বা টেরাকোটার ল্যাম্পশেড লাগিয়ে দেখতে পারেন। ‘এল’ আকৃতির ফল্স সিলিং বানিয়েও আলো লাগাতে পারেন। ঘরের ভোল একেবারে পাল্টে যাবে। খরচ বেশি লাগলে, ঘরে কোনও টেবিল থাকলে সেখানে টুনি বাল্ব দিয়েও কারসাজি করতে পারেন।
ছোটখাটো বদল: ঘরের দেওয়াল জোড়া আলমারির হ্যান্ডেল বা ড্রেসিং টেবিলের হাতলগুলি বদলে ফেলতে পারেন। ঘরের এক কোণে কিছু গাছ রাখতে পারেন। বিছানার পাশের টেবিলে একটি নতুন ঘড়ি বসাতে পারেন। এই রকম ছোট ছোট বদলেও আপনার শোয়ার ঘরটি সেজে উঠবে একদম নতুন রূপে।