বারান্দার ভোল বদলে যাবে নিমেষে, কী ভাবে সাজাবেন?
ছোট ফ্ল্যাটের এক চিলতে বারান্দারও ভোল বদলে দিতে পারেন। এখন আর সেই টানা লম্বা বারান্দা কোথায়। বেশির ভাগ আবাসনেই মাঝারি মাপের বারান্দা। তাই সেখানেই আপনাকে শখ পূরণ করতে হবে। তারকাদের ফ্ল্যাটের বারান্দার চাকচিক্য দেখে যদি আপনারও সাধ জাগে, তা হলে তা করা যেতেই পারে। কিছু কৌশল শিখে নিলে পুজোর আগেই বারান্দার ভোল বদলে দিতে পারেন।
সবচেয়ে আগে বারান্দার দেওয়ালে কারুকাজ করুন। ফোটো ফ্রেম, আয়না বা হ্যাঙ্গিং তাক রাখতে পারেন। তাতে রাখুন ছোট ছোট গাছ। লতানো গাছ যদি যত্ন করতে পারেন, তা হলে তা বারান্দার ভোলই বদলে দেবে। দেওয়াল জুড়ে গাছ মন ভাল করে দেবে।
বাড়ি যদি একটু পুরনো দিনের হয়, সে ক্ষেত্রে বারান্দায় হোগলাপাতা, বেত অথবা বাঁশের তৈরি মোড়া রাখতে পারেন। বারান্দায় আসবাব থাকলে বৃষ্টির বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বৃষ্টির ছাঁটে আসবাব যেন ভিজে না যায়।
বারান্দার রেলিং জুড়ে ছোট-বড় বিভিন্ন রকম গাছ লাগান। মাটিতে বেশি জায়গা না হলে নানা আকারের রংবেরঙের ঝোলানো টবও রাখতে পারেন। যদি জায়গা থাকে তা হলে কাঠ বা রট-আয়রনের গাছ রাখার তাক রাখতে পারেন। দেখতে খুব ভাল লাগে।
কৃত্রিম ঘাস লাগিয়ে বারান্দার মেঝে বাগানের মতো করেন অনেকেই। এক পাশে ছড়িয়ে দিন নুড়ি-পাথর। যদি তেমন না করতে চান, তা হলে বারান্দার আয়তন বুঝে নিয়ে মেঝেতে কুশন বা গদি বিছিয়ে নিন। একটু আয়েশ করে সময় কাটানোর একেবারে আদর্শ।
অবসরে যদি লেখালিখি বা গান শোনার অভ্যেস থাকে তা হলে রাখা যেতে পারে ছোট গোলাকার কাচের টেবিল। তাতে ফুলদানি , ছোট চায়ের কেটলি বা কলম-ডায়রি রাখতে পারেন। বাড়ির নান্দনিকতা বেড়ে যাবে বেশ খানিকটা।