বাংলার ঐতিহ্য থাকুক ইংরেজি নতুন বছরেও। ছবি- সংগৃহীত
ঘর সাজাতে ভালবাসেন এমন মানুষদের উপলক্ষ পেলেই হল। কিন্তু ঘর সাজানোর জন্য কী জিনিস কিনবেন, বা নতুন করে সাজাতে পুরনো কোনও জিনিস ব্যবহার করবেন কি না সেই নিয়ে চিন্তায় পড়েন অনেকেই। সামনেই আবার বছর শেষের পার্টি। সেই উপলক্ষে বাড়িতে বন্ধুবান্ধব সমাগম হবে। খাওয়াদাওয়া, নিজেদের সাজগোজের পাশাপাশি অন্দরসজ্জার কথাও ভাবতে হবে। কারণ, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পুরনো ঘরেও নতুন রূপ দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু প্রত্যেক বার ঘর সাজাতে গেলে রকমারি জিনিস কিনে খরচ বাড়াতেও ভাল লাগে না। তাই কম খরচে বাংলার এমন কোন কোন জিনিস দিয়ে ঘর সাজানো যেতে পারে, রইল তার হদিস।
১) মাদুরকাঠির জিনিস
মাদুর এখন সেকেলে। তাই মার্বেল কিংবা বাহারি টাইলস-এ সাজানো মেঝেতে পেতে রাখা মুশকিল। কিন্তু মাদুর তো বাংলার ঐতিহ্য। তাকে ভুললে চলবে কেন? তাই ইংরেজি নতুন বছর হলেও বাংলার শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে ঘর সাজিয়ে নিতেই পারেন মাদুরকাঠি দিয়ে তৈরি টেবিল রানার, কোস্টার, দেওয়ালে ঝোলানো কারুকাজ, ল্যাম্প শেড দিয়ে।
বাটিকের কাজ করা মানানসই চেয়ারের কভারও থাকতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
২) বাটিকের পর্দা বা চাদর
বেশি জিনিস দিয়ে ভরে ফেললেই যে দেখতে খুব সুন্দর লাগবে, তার কোনও মানে নেই। ছিমছাম ভাবে ঘর সাজালেও রুচির ছাপ পাওয়া যায়। রবি ঠাকুরের প্রিয় বাটিক যদি আপনারও পছন্দের হয়, তবে বাটিকের পর্দা, চাদর, বালিশের খোল দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন শোয়ার ঘর। সঙ্গে মানানসই বাটিকের টেবিল কভারও থাকতে পারে। চাইলে বাটিকের কুশন কভার বা চেয়ারের কভারও বানিয়ে নিতে পারেন।
৩) পটচিত্র
বাংলার আরও একটি ঐতিহ্য হল এই পটচিত্র। আগে শুধু মাত্র পটে আঁকা হলেও এখন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে বিভিন্ন মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এই বিশেষ শিল্প। যাঁরা রঙের বাহার পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য আদর্শ হল পটচিত্র। দেওয়ালের টাঙানোর ‘ওয়াল হ্যাঙ্গিং’, কোস্টার, চা দেওয়ার ট্রে কিংবা টেবিলে রাখার ‘শো পিস’, পেন স্ট্যান্ড সবেতেই আজকাল পটচিত্রের ছোঁয়া থাকে। এই সব জিনিস দিয়েও খুব কম খরচে অনায়াসে ঘর সাজিয়ে ফেলা যায়।