বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন আড্ডার পরিবেশ। কী ভাবে সাজিয়ে নেবেন আশপাশ? ছবি: সংগৃহীত।
বন্ধুবান্ধব নিয়ে জমিয়ে আড্ডা দেওয়ার জন্য জায়গা চাই? চাইলে বাড়ির একাংশকে আড্ডাঘরে বদলে ফেলতে পারেন। বসার ঘর হোক বা স্টাডি, কিংবা ডাইনিং রুমের একাংশ, পছন্দমতো যে কোনও জায়গাই হয়ে উঠতে পারে আড্ডার জন্য উপযুক্ত। শুধু সাজসজ্জায় কিঞ্চিৎ বদল দরকার।
ভোলবদলে কী কী দরকার?
১. জমিয়ে আড্ডা দেওয়ার জন্য আরামদায়ক চওড়া সোফার কোনও বিকল্প হয় না। কোনও একটা দেওয়াল ঘেঁষে সোফা রাখা যেতে পারে। আড্ডায় জনসমাগম যদি বেশি হয়, তা হলে ফাঁকা জায়গাও দরকার। ফলে সোফাসেট ছড়িয়ে রাখলে স্থান সঙ্কুলানে অসুবিধা হবে না। বাড়তি বসার জায়গা করতে পারেন কয়েকটি বিন ব্যাগ রেখে দিয়ে। প্রয়োজনে সেগুলি সরিয়েও দেওয়া যাবে।
২. আাড্ডাঘরে যে দেওয়ালটি বা স্থানটি ঢুকলেই চোখে পড়ে, সেই জায়গাটি সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে পারেন। রকমারি আয়না, ঘড়ি, বা ছবি দেওয়ালসজ্জায় ব্যবহার করতে পারেন। সোফার সামনে বা ঘরের কোণের টেবিলটিও ফুলেল ছোঁয়ায় সাজিয়ে তুলতে পারেন। তবে বেশি জবরজং নয়, আড্ডাঘরের সাজ ছিমছাম হলেই ভাল লাগবে।
আড্ডাঘরে থাক আরামদায়ক শোফা। ছবি: সংগৃহীত।
৩. যদি ঘরোয়া আড্ডায় মদ্যপান চলে, তা হলে ছোট একটা বার কাউন্টারেরও ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। রকমারি বোতল ও কাচের গ্লাস সেখানে সাজিয়ে রাখলেও মানানসই হবে।
৪. বই পড়ায় আগ্রহ থাকলে, আড্ডাঘরের একপাশে সুন্দর কোনও আলমারি বা তাকে বইও সাজিয়ে রাখতে পারেন। বই সাজানোর জন্য রকমারি বাজারচলতি তাক পাওয়া যায়, যা সরাসরি দেওয়ালে আটকে দেওয়া যায়।
দেওয়ালে এ ভাবে বই সাজিয়ে রাখতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
৫. আড্ডার জায়গায় জোরালো আলোর পাশাপাশি মৃদু আলোর ব্যবস্থাও রাখতে পারেন। আধুনিক নকশার কোনও ঝাড়লণ্ঠন বা ছাদ থেকে ঝোলানো আলোয় আড্ডাস্থল অন্য মাত্রা পাবে।