স্নিগ্ধ আলোয় ভরে যায় চারপাশে। ছবি: সংগৃহীত।
ঘরের সাজে বদল আনতে বাহারি কায়দার ল্যাম্পশেডই যথেষ্ট। জ্বালিয়ে রাখলে মায়াবী আলোয় ঘর ভরে যায়। ঘরের যে কোণেই ল্যাম্পশেড রাখুন, আলাদাই একটা সৌন্দর্যে ভরে ওঠে ঘর। আর শুধু ঘরে কেন, বসার ঘরেও ল্যাম্পশেড রাখেন অনেকে। স্নিগ্ধ আলোয় ভরে যায় চারপাশে। আলোআঁধারি সেই পরিবেশে মনও ভরে ওঠে। ইদানীং ল্যাম্পশেডের নকশা নিয়ে বেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। সিল্ক থেকে সুতি, এমনকি খাদি কাপড়ও ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও তালপাতা, খেজুরপাতা দিয়েও বানানো হচ্ছে ল্যাম্পের শেড। অন্দরসজ্জায় শৌখিন ছোঁয়া আনে যে জিনিস, আলাদা করে যত্ন প্রয়োজন। কী ভাবে নেবেন ল্যাম্পশেডের যত্ন?
১) প্রতি দিন এক বার করে হালকা সুতির কাপড় দিয়ে ল্যাম্পশেডটি পরিষ্কার করুন। রাস্তার পাশে বাড়ি হলে ধুলো জমে যায় বেশি। তাই ল্যাম্পশেডের প্রতিটি কোণ ভাল করে মুছে নেওয়া জরুরি।
ল্যাম্পশেডের যত্ন নিন। ছবি: সংগৃহীত।
২) ল্যাম্পশেড পরিষ্কার করার সময়ে একদম জলের ব্যবহার করবেন না। ল্যাম্পশেড বন্ধ করা থাকলেও কখনও জল দিয়ে পরিষ্কার করবেন। এ ছাড়াও ল্যাম্পশেডে কোনও স্প্রে করবেন না।
৩) ল্যাম্পশেড পরিষ্কার করার সময়ে আলতো করে ধরে রাখুন। নয়তো মোছার সময়ে শেডটি তার অবস্থান থেকে সরে যেতে পারে। সেটা যথাস্থানে ফিরিয়ে আনতে না পারলে ল্যাম্পশেডের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৪) সব সময়ে নরম পাতলা সুতির কাপড় দিয়ে শেড মুছে নিতে হবে। সিন্থেটিক কিংবা সিল্কের কোনও কাপড় দিয়ে ল্যাম্পশেড পরিষ্কার করবেন না। অনেক দিন ধরে ব্যবহার করার ফলে ল্যাম্পশেডের গায়ে দাগ পড়ে যায়। শক্ত ব্রাশ দিয়ে ঘষলে সেই দাগ উঠে যেতে পারে।
৫) ল্যাম্পশেডের কাপড়টি অনেকে রোদে দেন। এটি ঠিক নয়। ল্যাম্পশেডের কাপড় রোদে রেখে দিলে রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আলো জ্বালানোর পর দেখতে খারাপ লাগবে।