ঘরের ভোল বদলে দিতে পারে বাহারি দোলনা। ছবি: সংগৃহীত
ছোটবেলায় পড়া জলে-জঙ্গলে অভিযানের গল্প-কাহিনিতে কল্পনার অভিযাত্রীদের অনেকেই জঙ্গলের মাঝে একটি গাছ থেকে আর একটি গাছে দড়ি দিয়ে বাঁধা বিছানায় শুতেন। সেই একাধারে দোলনা আর বিছানার মতো বস্তুটির নাম ‘হ্যামক’। শুধু অভিযাত্রীরাই নন, আজও অনেকে সমুদ্রসৈকতে নারকেল গাছ থেকে ঝোলানো এই দোলনা-বিছানায় শুয়ে ছুটি কাটাতে ভালবাসেন। কেমন হয় যদি সমুদ্রসৈকতের সেই আলসেমি মাখা হ্যামক লাগিয়ে ফেলা যায় বাড়িতেই?
যদি বাড়িতে প্রশস্ত ব্যালকনি থাকে তবে লাগিয়ে ফেলতে পারেন হ্যামক। ছবি: সংগৃহীত
ভাবছেন এ কেমন অদ্ভুত কথা? অন্য রকম শোনালেও এই ভাবনা কিন্তু ঘর সাজানোর আধুনিক ধারণার সঙ্গে খুব একটা বেমানান নয়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি বাড়িতে প্রশস্ত ব্যালকনি থাকে। না থাকলে বসার ঘর যদি বেশ কিছুটা বড় হয়, তা হলে এই পরীক্ষাটা করতেই পারেন। যেখানে হ্যামক লাগাবেন, সেখানে মেঝেতে সিমেন্ট দিয়ে আধ ইঞ্চি উঁচু করে একটি আয়তাকার সীমারেখা তৈরি করুন। এ বার তার মধ্যে ভরে দিন পরিষ্কার করা চকমকি নুড়িপাথর। সেই ছোট্ট পাথরের গালিচার উপর দু’দিকে পোক্ত দু’টি আংটায় বেঁধে বসিয়ে দিন হ্যামক।
অল্প জায়গাতেও দোলনা লাগাতে হলে ছাদ থেকে ঝোলা দোলনা লাগাতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
হ্যামক ঝোলানোর জন্য কিছুটা জায়গা চাই। অনেকের বাড়িতেই সেই জায়গা থেকে না। যদি খুব কম জায়গাতেও দোলনা লাগানোর শখ থাকে, তবে ছাদ থেকে ঝোলা দোলনা লাগাতে পারেন বসার ঘর কিংবা বারান্দায়। এমনকি, শোয়ার ঘরেও যদি অনেকটা জায়গা থাকে, কোনও একটি জানলার পাশে রাখতে পারেন এমন ঝোলানো দোলনা।
সুন্দর ফ্যাব্রিকের কুশন দেওয়া স্ট্যান্ডিং দোলনা। ছবি: সংগৃহীত
যাঁরা খুব একটা অন্য রকম কিছু করতে চান না, তাঁরা বেছে নিতে পারেন স্ট্যান্ডিং দোলনা। এই ধরনের দোলনার চল অন্দরসজ্জায় সবচেয়ে বেশি। অনেকে এখন বসার ঘরে সোফার পরিবর্তে এই ধরনের দোলনা ব্যবহার করেন। সুন্দর ফ্যাব্রিকের কুশন দেওয়া থাকলে এই ধরনের দোলনা দেখতে মন্দ লাগে না। তবে এই দোলনা লাগানোর সময়ে খেয়াল রাখতে হবে, যেন ঘরের আসবাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে। বসার ঘরে এই দোলনা রাখলে সিলিং লাইট কিংবা ছোট টুনি লাইট উপর দিয়ে পেঁচিয়ে সাজাতে পারেন দোলনাটি। কেনার সময়ে খেয়াল রাখবেন দোলনা যেন পোক্ত হয়।