বালিশের ঢাকা কত দিন অন্তর বদলানো দরকার? ছবি: ফ্রিপিক।
বাড়িতে অতিথি আসার আগে বিছানার চাদর, বালিশের ওয়াড় বদলে যায়। তবে অন্যান্য সময়? অনেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিছানার চাদরটি পাল্টে ফেললেও, বালিশের ঢাকা বদলান না। কেউ কেউ মনে করেন, বালিশের ঢাকা সে ভাবে নোংরা হয় না, বা তোয়ালে দিয়ে সেটি ঢাকা থাকায় দু’দিন অন্তর কাচার দরকার নেই। কিন্তু এই অভ্যাস কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? বিছানার চাদরের পাশাপাশি বালিশের ওয়াড় কত দিন অন্তর কাচা উচিত?
বালিশের ওয়াড় পরিষ্কার করা কেন জরুরি?
দিনের শেষে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দেন বিছানায়। বিছানার চাদর এবং বালিশে প্রতি দিন চুলের তেল, ঘাম, সবই লাগে। বাইরে থেকে এসে হাত-পা না ধুয়েও খাটে বসে পড়ার অভ্যাস অনেকের। বাইরে থেকে এসে মেকআপ না তুলেই বালিশে মাথা এলিয়ে দিলেন। ঘাম, মেকআপের অংশ তাতেই লেগে গেল। এ ভাবে প্রতি দিনের ধুলো-ময়লা জমতে থাকে বিছানার চাদর এবং বালিশের ওয়াড়েও।
বালিশের ঢাকা কত দিন অন্তর কাচবেন বা পাল্টাবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে, ব্যবহারকারী এবং পরিবেশের উপর।
প্রতি দিন কাচবেন কারা?
অনেকেরই ত্বকে সমস্যা থাকে। সোরিয়াসিস, একজ়িমা জাতীয় ত্বকের অসুখ হলে নিয়মিত বালিশের ঢাকা কাচতে হবে। মাথায় খুশকি এবং উকুন হলেও তা প্রতি দিন বদলে ফেলা ভাল। অনেকের ধুলোতে এলার্জি থাকে। এই রকম সমস্যা থাকলেও বালিশের ঢাকা নিয়মিত কাচা দরকার।
আর কোন ক্ষেত্রে নিয়মিত বালিশের ঢাকা বদলানো দরকার?
ঘাম বেশি হলে
গরমের দিনে ঘাম বেশি হয়। ঘরে যদি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র না থাকে, সেই ঘাম বালিশের ঢাকা, বিছানার চাদরেও লাগে। গরমের মরসুমে তাই ঘন ঘন বালিশের ঢাকা বদলে ফেলা দরকার।
তৈলাক্ত ত্বক এবং চুল
অনেকের ত্বক তৈলাক্ত হয়। মাথার ত্বকেও তেল ভাব থাকে। তৈলাক্ত ত্বকে ধুলো-ময়লা চট করে আটকে যায়। তা থেকে ত্বকের সংক্রমণও হতে পারে।
পোষ্য
বহু বাড়িতে পোষ্যেরা বিছানায় ওঠার ছাড়পত্র পায়। এ ক্ষেত্রে সারমেয় বা বিড়ালের লোম চারদিকে ছড়িয়ে যায়। বালিশে লেগে যায়। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে পোষ্য থাকলে বালিশের ঢাকা এবং চাদর ঘন ঘন কেচে নেওয়া উচিত।
সপ্তাহে ১ বা ২ দিন কাচলেও কি চলবে?
শীতের মরসুমে ঘাম কম হয়। ফলে বালিশ চট করে ঘামে নোংরা হয় না। ত্বকেও যদি কোনও সমস্যা না থাকে, খুশকি বা চুল ঝরার প্রবণতা না থাকে, তা হলে সপ্তাহে এক বা দু’বার বালিশের ওয়াড় বদলালেও চলবে।