ফ্রিজ খারাপ হয়ে গেলে যে অনেকেরই মাথায় হাত পড়বে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ছবি: সংগৃহীত
গরম বা শীত, ফ্রিজ ব্যবহারের আলাদা করে কোনও মরসুম নেই। ঘর এবং বাইরে একসঙ্গে যাঁদের সামলাতে হয়, তাঁদের কাছে খুবই দরকারি সরঞ্জাম হল ফ্রিজ। অনেকেই সারা সপ্তাহ সময় পান না বলে ছুটির দিনে বাজার করে সেগুলি ফ্রিজে তুলে রাখেন। আবার রান্না করেও রেখে দেন অনেকেই। যাতে অফিস বেরোনোর সময় খাওয়ার আগে গরম করে নিলেই হল। ধরুন এমন একটি ব্যস্ততার দিনেই হঠাৎ দেখলেন, ফ্রিজটি কাজ করছে না। যন্ত্র যখন, তা খারাপ হতেই পারে। তবে ফ্রিজ খারাপ হয়ে গেলে যে অনেকেরই মাথায় হাত পড়বে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
ফ্রিজ খারাপ হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে কিছু কারণ রয়েছে। ফ্রিজ ব্যবহারের কিছু ভুলেই এমন ঘটে। দীর্ঘ দিন ভাল রাখতে ফ্রিজ ব্যবহারের সময় কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন?
বারে বারে ফ্রিজের দরজা খোলা
অপ্রয়োজনে ফ্রিজের দরজা খুলে রাখবেন না। রান্না শুরুর আগে যা যা দরকার, সেগুলি ফ্রিজ থেকে বার করে নিন। অনেকেই আছেন যাঁরা রান্না করতে করতে ফ্রিজ থেকে সব্জি, মাছ কিংবা অন্যান্য কিছু বার করেন। এতে আসলে ফ্রিজেরই ক্ষতি হচ্ছে। ফ্রিজের নিজস্ব একটি তাপমাত্রা রয়েছে। ফলে এর দরজা বেশি ক্ষণ খোলা রাখলে বাইরের হাওয়া ফ্রিজে প্রবেশ করে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।
ফ্রিজ খারাপ হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে কিছু কারণ রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
ফ্রিজ পরিষ্কার না করলে
রান্না করা খাবার, সব্জি দীর্ঘ দিন ভাল রাখতে ফ্রিজ ব্যবহার করছেন ভাল কথা। কিন্তু ফ্রিজও পরিষ্কার করার দরকার আছে। অত্যধিক ব্যবহারে ফ্রিজে ময়লা জমে যান্ত্রিক ত্রুটি তৈরি হতে পারে। তাই প্রতি সপ্তাহে ফ্রিজ পরিষ্কার করা জরুরি। নয়তো ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে শুরু করবে। প্রতিদিন না হলেও, মাঝেমাঝেই ফ্রিজটি পরিষ্কার করুন।
বেশি জিনিসপত্র রাখলে
একগাদা জিনিস ফ্রিজে না রাখাই ভাল। যে জিনিসগুলি ফ্রিজের বাইরেই ভাল থাকতে পারে, সেগুলি ফ্রিজে রাখার দরকার নেই। বাইরে যত্ন করে রাখুন। কিন্তু যেগুলি ফ্রিজে না রাখলে পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সে সব অবশ্যই ফ্রিজে রাখুন। খুব বেশি জিনিসপত্র রাখলে ফ্রিজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।