ভাজা জিনিস দীর্ঘ ক্ষণ মুচমুচে রাখতেও চালের গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়। ছবি- সংগৃহীত
চালের গুঁড়ো মানেই পিঠে বা পাটিসাপটা, এমনটা ভাবার কিন্তু কোনও কারণ নেই। যে কোনও ভাজা দীর্ঘ ক্ষণ মুচমুচে রাখতেও চালের গুঁড়ো ব্যবহার করা যায়। কিন্তু মুশকিল হল চালের গুঁড়ো বেশি দিন রাখলেই তাতে পোকা ধরে যায়। তখন ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। তা কেন? ফেলে না দিয়ে তা দিয়ে তো আলপনাও দেওয়া যায়। আর কী কী করা যায়?
কী করে বানাবেন চালের গুঁড়ো?
বাজারে সারা বছরই চালের গুঁড়ো কিনতে পাওয়া যায়। তবু যদি বাড়িতে করতে ইচ্ছা করে, খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায়। প্রথমে চাল ভাল করে ধুয়ে জলে শুকিয়ে নিন। এ বার মিক্সিতে বা শিলে বেটে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চালের গুঁড়ো।
কী ভাবে রাখলে দীর্ঘ দিন ভাল থাকবে চালের গুঁড়ো?
চালের আটাতে খুব সহজেই পোকা ধরে যায়। তার উপর বর্ষাকাল হলে তো কথাই নেই। তাই চালের গুঁড়ো সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতেই হয়। কাচ বা প্লাস্টিকের কৌটোতে রাখতেই পারেন, কিন্তু তা হতে হবে বায়ু নিরোধক।
বাড়িতে চালের গুঁড়ো দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্ক্রাব। ছবি- সংগৃহীত
ভাজার মধ্যে
যে কোনও ভাজার মধ্যে চালের গুঁড়ো ছড়িয়ে ভাজলে তা মুচমুচে থাকবে অনেক ক্ষণ।
মিষ্টি তৈরিতে
পায়েস তৈরি করতে গেলে যেমন চাল লাগে, তেমন ফিরনি তৈরি করতে লাগে চালের গুঁড়ো। শুধু তা-ই নয়, চালের গুঁড়ো দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন, চালের গুঁড়োর লাড্ডু।
রূপচর্চায়
বাজার থেকে কেনা এক্সফোলিয়েটরের উপর ভরসা না করে, বাড়িতে চালের গুঁড়ো দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্ক্রাব।
চালের গুঁড়োর সঙ্গে একটু হলুদ, ১ চা চামচ মধু এবং কাঁচা দুধ এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মুখের ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয়, তা হলে মুখে মাখবেন না।