পেঁপে ক্যানসার প্রতিরোধক, হৃদ্যন্ত্র এবং স্নায়ুতন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে। ছবি- সংগৃহীত
খালি পেটে জল আর ভরা পেটে ফল খাওয়ার রেওয়াজ বহু দিনের। ইদানীং শুধু জল না খেয়ে জলে কিছু ভেষজ, ফল ভিজিয়ে তার জল খাওয়ারও চল হয়েছে। যার পোশাকি নাম ‘ইনফিউজ়ড ওয়াটার’। কিন্তু টাটকা ফল খাওয়াই যখন স্বাস্থ্যকর, তখন হঠাৎ ফল ভেজানো জল খাবেন কেন?
পুষ্টিবিদদের মতে, ফল ভাল করে ধুয়ে কেটে খেলেই চলে। কিন্তু ফলের মধ্যে থাকা বিভিন্ন অ্যাসিড এবং বিভিন্ন যৌগগুলি যথেষ্ট সক্রিয় অবস্থায় থাকে। যা প্রত্যেকের শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর না-ও হতে পারে। যেমন পাকা পেঁপে। পাকা পেঁপেতে থাকে ‘লাইকোপেন’। এই যৌগটি তাপমাত্রার সংস্পর্শে এলে তবেই ভাল ভাবে কাজ করতে পারে। পেঁপের মধ্যে থাকা এই যৌগটি ক্যানসার প্রতিরোধক, হৃদ্যন্ত্র এবং স্নায়ুতন্ত্রও ভাল রাখে।
পেঁপের জল খাওয়ার কি কোনও নির্দিষ্ট সময় আছে?
যদিও চিকিৎসকরা একেবারে খালি পেটে ফল খেতে বারণই করেন। কিন্তু যদি ওজন ঝরানোর লক্ষ্য নিয়ে বিশেষ এই জল খেতে হয়, তা হলে ঘুম থেকে উঠে, মুখ ধুয়ে, একেবারে খালি পেটে খেয়ে নেওয়াই ভাল।
পাকা পেঁপের মধ্যে রয়েছে ‘লাইকোপেন’। ছবি- সংগৃহীত
পাকা পেঁপের মধ্যে রয়েছে ‘লাইকোপেন’। এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন, প্যাপেইন, প্রদাহ নাশকারী, ক্যানসার প্রতিরোধকারী যৌগ। শুধু তা-ই নয়, প্রতি মাসে মেয়েদের ঋতুস্রাব চলাকালীন জরায়ুর সঙ্কোচন-প্রসারণে যে ব্যথা হয়, তা-ও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কী করে বানাবেন পাকা পেঁপের জল?
১) প্রথমে একটি পাকা পেঁপের খোসা ছাড়িয়ে নিন।
২) ভিতরের বীজ কেটে ফেলে দিন।
৩) এ বার ছোট ছোট টুকরো করে নিন।
৪) বড় একটি পাত্রে জল ফুটতে দিন।
৫) এর মধ্যে দিয়ে দিন কেটে রাখা পাকা পেঁপের টুকরোগুলি।
৬) আরও পাঁচ মিনিট ফোটান। পেঁপে কিছুটা সেদ্ধ হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
৭) স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন।
৮) কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজেও রাখতে পারেন।