উৎসবের মরসুমে ফুলের ছোঁয়ায় সেজে উঠুক বাড়ির আনাচকানাচ। ছবি: সংগৃহীত।
উৎসবের মরসুম মানেই বাড়িতে হইচই, আড্ডা, আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধবদের আসা-যাওয়া। কিন্তু, ঘর-বার সামলাতে গিয়ে অন্দরসজ্জায় সে ভাবে নজর দিতে পারেননি?
পুজোর সময় ফুলেল থিমে ঘর সাজিয়ে নিতে পারেন। আসল ফুলের পাশাপাশি পর্দা থেকে কুশন— সবেতেই আনতে পারেন বদল।
পর্দা
ঘরের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে উপযুক্ত পর্দার উপরে। পুজোর সময় জানলেন, বিকালেই অতিথি আসবেন। হাতে বাড়তি সময় নেই। চট করে পর্দা বদলে দিতে পারেন। যে কোনও হালকা রঙের পর্দা ঘরের শোভা বাড়িয়ে তোলে। সাদা বা ঘিয়ে রঙের উপর হরেক রকম ফুলের ছাপ দেওয়া পর্দা মেলে। তেমনই কোনও একটি ঝুলিয়ে দিতে পারেন দরজা এবং জানলায়।
ফুলেল কুশন
এই ধরনের কুশন দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারেন ঘর। ছবি: সংগৃহীত।
সাদামাঠা সোফার রূপ বদলে যাবে, যদি সেখানে নকশা করা কুশন রাখা হয়। ফুলের থিমে ঘর সাজাতে চাইলে কুশনটিও সেই মতো বাছাই করতে হবে। সাদা-হলুদের মিশেলে সূর্যমুখীর মতো বা রংবাহারি ফুলের মতো কুশন বেছে নিতে পারেন। আবার কুশনে ফুলের অ্যাপ্লিক করা বা সুতোর কাজ করা ঢাকনাও ব্যবহার করতে পারেন।
কার্পেট
শোয়ার ঘর হোক কিংবা বসার ঘর, সুন্দর কার্পেট ঘরের সৌন্দর্য কিন্তু অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। বাড়িতে অতিথি আসার কথা হলে একটি কার্পেট বিছিয়ে দিলেই ঘর দেখতে অন্য রকম লাগবে। অন্দরসজ্জা যদি ফুলের থিমে হয়, তা হলে কার্পেটেও রাখতে হবে ফুলেল নকশা। চৌকো, গোল, ছোট, বড়, মাঝারি ফুলের নকশা করা রকমারি কার্পেট পাওয়া যায়।
ফুলেল কার্পেট দিয়ে সাজিয়েে নিতে পারেন ঘর। ছবি: সংগৃহীত।
দেওয়াল সজ্জা
বসার ঘরের দেওয়ালটি সাজিয়ে তুলতে বেছে নিতে পারেন ফুলের ত্রিমাত্রিক নকশা। ফুলের ছবিও ব্যবহার করা যায় সেখানে। এ ছাড়া, দেওয়াল সজ্জায় এখন কাঠের কাজের ব্যবহারের চল রয়েছে। সেই কাজেও আনা যায় ফুলের নকশা।
টাটকা ফুলের ছোঁয়া
উৎসবের আবহে ঘরে টাটকা-তাজা ফুলের ছোঁয়া পরিবেশকেই বদলে দিতে পারে। ফুলদানি হোক বা কাচের পাত্র, পছন্দের ফুল দিয়ে চট করে সাজিয়ে ফেলুন ঘরের আনাচকানাচ। বাগানে যদি ফুল ফুটে থাকে, একটি কাচের পাত্রে জল নিয়ে সেই ফুলটিই ভাসিয়ে দিন। পুজোর দিনগুলিতে পিতলের থালায় ফুল এবং মোমবাতি সাজিয়ে রাখলেও বেশ দেখতে লাগবে।