ছবি- সংগৃহীত
জলখাবার থেকে শুরু করে মাঝরাতের হঠাৎ খিদে, সবেতেই ডিমের অবাধ অধিকার। নির্দিষ্ট কোনও অসুবিধা না থাকলে ডিম খেতে ভালবাসেন না, এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। সারা দিন ধরে ডিমের এত রকম পদ যে বাড়িতে রান্না করছেন, ডিমের খোসাগুলি দিয়ে কী করছেন? ডিমের খোসা ঘরের এক কোণে রেখে দিলে টিকটিকির উপদ্রব কমে, এই টোটকা তো অনেকেই জানেন। এ ছাড়াও ঘরের ময়লার বালতিতে পড়ে থাকা ডিমের খোসা বাড়ির এমন অনেক ছোট ছোট প্রয়োজন খুব সহজেই মিটিয়ে দিতে পারে।
১) গ্যাসে রান্না বসিয়ে ভুলে গিয়েছেন? রান্না তো পুড়ে গেলই, পাশাপাশি কড়াইয়ের নীচটা ধরে গিয়ে খারাপ অবস্থা। চিন্তা নেই, রান্নাঘরেই রয়েছে সমাধান। ডিমের খোসা গুঁড়ো করে, বাসন ধোয়ার সাবানে মিশিয়ে রাখুন। খুব বেশি পুড়ে গেলে, পোড়া জায়গায় লেবুর রস এবং ডিমের খোসা গুঁড়ো ভাল করে মাখিয়ে রাখুন। কিছু ক্ষণ পর ধুয়ে নিলেই বাসন ঝকঝকে হয়ে উঠবে।
২) বাড়ির ছোট ব্যালকনিই হোক বা ছাদের বাগান, গাছ রাখলে সময় মতো সার তো দিতেই হয়। ডিমের খোসা ফেলে না দিয়ে, গুঁড়ো করে অন্যান্য সারের সঙ্গে মিশিয়ে মাটিতে ব্যবহার করুন। হাতে এত সময় না থাকলে ডিম সেদ্ধ করা জল ঠান্ডা হলে সরাসরি মাটিতে দিয়ে দিতে পারেন।
ডিম সেদ্ধ করা জল ঠান্ডা হলে সরাসরি মাটিতে দিতে পারেন। ছবি- সংগৃহীত
৩) বাড়িতে পাখি পোষেন? পাখির খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিন সেদ্ধ ডিমের খোসা। পাখিদের শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি মিটবে খুব সহজেই।
৪) ক্যালশিয়াম ছাড়াও ডিমের খোসাতে রয়েছে কোলাজেন, গ্লুকোসামিন। হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত করতে স্যুপের সঙ্গে মেশাতে পারেন ডিমের খোসা। তবে, ব্যবহার করার আগে ভাল করে ডিমের গা পরিষ্কার করে নেবেন।
ক্যালশিয়াম ছাড়াও ডিমের খোসাতে রয়েছে কোলাজেন, গ্লুকোসামিন। ছবি- সংগৃহীত
৫) আধ কাপ ডিমের খোসা গুঁড়ো করে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে দিন এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা এবং কয়েক ফোঁটা মিন্ট এসেন্সিয়াল অয়েল। এই সব উপকরণগুলি ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি ঘরোয়া টুথপেস্ট।