আম্পায়ারের মুখের সামনে গিয়ে উচ্ছ্বাস রবীন্দ্র জাডেজার। ছবি: বিসিসিআই।
আইপিএলে দেখা যাচ্ছে ক্রিকেটারদের নানা রকম উচ্ছ্বাস। দিগ্বেশ রাঠীর ‘নোটবুক’ বা অভিষেক শর্মার চিরকুট উচ্ছ্বাস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ বার অভিনব উচ্ছ্বাস দেখিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জিতে নিলেন রবীন্দ্র জাডেজা।
সোমবার মুখোমুখি হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং চেন্নাই সুপার কিংস। প্রথমে ব্যাট করেন ঋষভ পন্থেরা। ২২ গজে জমে যাওয়া আগ্রাসী আয়ুষ বাদোনিকে গুরুত্বপূর্ণ সময় আউট করেন জাডেজা। লখনউয়ের ইনিংসের ১৪তম ওভারের চতুর্থ বলে জাডেজার বলের লাইন বুঝতে পারেননি বাদোনি। লখনউয়ের ব্যাটারকে ক্রিজ় ছেড়ে এগিয়ে আসতে দেখে অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরে বল করেন জাডেজা। বাদোনি ব্যাটে বল লাগাতে পারেননি। বল চলে যায় উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির হাতে। ভুল করেননি ধোনি। বাদোনিকে স্টাম্পড আউট করে দেন।
উইকেট পেতেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন জাডেজা। আম্পায়ারের মুখের একদম সামনে গিয়ে লাফালাফি শুরু করে দেন। আগে দু’বার সুযোগ দিয়েও বেঁচে যান লখনউয়ের ব্যাটার। সে কারণেই হয়তো জাডেজা একটু বেশিই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিলেন। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের কাণ্ড দেখে হাসি চাপতে পারেননি আম্পায়ারও। জাডেজার অভিনব উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে আম্পায়ারের টুপিতে লাগানো ক্যামেরায়।
উল্লেখ্য, ১৩তম ওভারে মাথিশা পাতিরানার বাউন্সারে ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ আউট হন বাদোনি। কিন্তু বলের উচ্চতা তাঁর মাথায় অনেক উপরে থাকায় ‘নো’ ডাকেন আম্পায়ারেরা। ফলে বেঁচে যান বাদোনি। সে সময় তাঁর রান ছিল ২০। এর পর ১৪তম ওভারে জাডেজার বলে অল্পের জন্য এলবিডব্লিউ হতে হতে বেঁচে যান। মাঠের আম্পায়ার আউট দিলে ডিআরএস নেন বাদোনি। তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখে জানান, বল বাদোনির প্যাডে লাগার আগে সামান্য স্পর্শ করেছিল গ্লাভসে। তাই আউট নন। তখন বাদোনির রান ছিল ২২। শেষ পর্যন্ত ১৭ বলে ২২ রানেই আউট হন লখনউয়ের ব্যাটার।