হেঁশেলের ভোলবদলে ফেলুন অল্প খরচে। ছবি: শাটারস্টক।
হেঁশেল। বাড়ির সবচেয়ে ছোট ঘরটিতেই দিনের বেশ কিছুটা সময় কাটাতে হয় গৃহিণীদের। রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে তবেই কিন্তু রান্নার করার ইচ্ছে বাড়ে মনে। তাই একঘেয়েমি কাটাতে মাঝে মাঝে এই ঘরের একটু ভোলবদল করা প্রয়োজন। তা না হলে রান্না করার উৎসাহও কমে যেতে পারে। আর তখনই বাইরে থেকে অ্যাপের মাধ্যমে খাবার আনিয়ে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই রান্নাঘর সুন্দর করে সাজালে, শরীর-মন— দুই-ই থাকবে ভাল। তবে অনেকেই মনে করেন, রান্নাঘরের ভোলবদল মানেই কি গুচ্ছের টাকা খরচ এবং এক রাশ ভোগান্তি। একটু বুদ্ধি খাটালেই কিন্তু খুব কম খরচে এবং অল্প সময়ই হেঁশেলকে নতুনের মতো সাজিয়ে তোলা যায়। জেনে নিন, তেমনই কিছু কৌশল।
১. পুরো রান্নাঘরে রং করা খুবই সময়সাপেক্ষ। তাই দেওয়ালের রং না বদলে কোনও একটা আসবাব নতুন করে রং করতে পারেন। কিংবা রান্নাঘরের দেওয়াল আলমারির পাল্লাগুলি অন্য রঙে রাঙিয়ে নিতে পারেন। রান্নাঘরের যে কোনও একটি দেওয়ালে ওয়ালপেপারও লাগিয়ে ফেলতে পারেন। তা হলে রান্নাঘরের পুরো সাজটাই বদলে যাবে।
২. রান্নাঘরে সবুজের ছোঁয়া আনলেও দেখতে বেশ ভাল লাগে। এ ক্ষেত্রে দামি দামি গাছ নয়, কিছু মানি প্ল্যান্টও রাখতে পারেন। কাচের বোতলে একটু আঁকিবুকি করে নিন। তার মধ্যে মানি প্ল্যান্ট রাখলে দেখতে সুন্দর লাগে। এ ছাড়াও সাধারণ ফুলদানিতে ফুল না সাজিয়ে একটু অন্য রকম পাত্র বেছে নিন।
৩. রান্নাঘরের দেওয়ালে নানা রকম মজার পোস্টার বাঁধিয়ে রাখতে পারেন। বা পপ আর্ট পিসও রাখতে পারেন। তাতে পুরনো দেওয়ালও নতুন প্রাণ পাবে।
৪. পুরনো হাতা-খুন্তি বদলে একটু অন্য ধরনের রং-বেরঙের রান্নার সরঞ্জাম কিনে সাজিয়ে রাখতে পারেন রান্নাঘরের দেওয়ালে।
৫. রান্নাঘরের আলোর কারসাজি করতে পারেন। আলোর রোশনাই যে কোনও ঘরের ভোল বদলে ফেলতে পারে। তাই রান্নাঘরে কিছু নতুন লাইটের ব্যবস্থা করতে পারেন।