জামাকাপড় ভাঁজ না করে আলমারিতে তুলে রাখার কারণেই সবচেয়ে বেশি অগোছালো হয়। ছবি: সংগৃহীত।
তাড়াতাড়ি করে তৈরি হয়ে বেরোবেন। কী পোশাক পরবেন তা আগে থেকে ঠিক করা নেই। একরাশ চিন্তা নিয়ে দাঁড়ালেন আলমারির সামনে। পাল্লা খুলতেই জামাকাপড়ের স্রোত এসে আছড়ে পড়ল। অধিকাংশ বাড়ির চিত্রটাই এমন। শখ করে ঘন ঘন পোশাক তো কিনে ফেলেছেন। এ দিকে সেগুলি ঠিক করে রাখার জায়গা নেই। মাথা খাটিয়ে গুছিয়ে রাখার সময়ও নেই। তবে একটু বুদ্ধি করে যদি আলমারিটা গুছিয়ে ফেলা যায়, তা হলে আর অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
১) চেষ্টা করুন একসঙ্গে বেশি কাজ জমিয়ে না ফেলতে। সপ্তাহান্তে এক দিন দেখে নিন, কতটা অগোছালো হয়ে গিয়েছে জায়গাটা। প্রতিটি পোশাক আলাদা আলাদা করে ভাঁজ করে রাখুন। পোশাক ব্যবহারের সময়ও কিন্তু এতটাই সাবধান হতে হবে। কয়েক সপ্তাহ এমন অভ্যাসে চললে আলমারির হাল আর এ রকম হবে না।
২) কোন পোশাকগুলি বেশি ব্যবহার হয় আর কোনগুলি কম ব্যবহার হয়, তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। দরকারি জিনিসগুলি হাতের কাছে রাখুন। তা হলে পুরো আলমারি তোলপাড় করার প্রয়োজন পড়বে না।
৩) আমাদের আলমারিতে এমন অনেক কিছুই জমে থাকে, যা বছর গড়িয়ে গেলেও ব্যবহার করি না। এমন সব জিনিস জায়গা আটকে তো রাখেই, সঙ্গে আলমারি গোছনোর কাজেও সমস্যা সৃষ্টি করে। দু’মাসে অন্তত একটা দিন হাতে এক ঘণ্টা সময় রাখুন নিজের আলমারির জন্য। বাদ দিন কিছু অপ্রয়োজনীয় জিনিস।
৪) জামাকাপড় ভাঁজ না করে আলমারিতে তুলে রাখার কারণেই সবচেয়ে বেশি অগোছালো হয়। শাড়ি হোক কিংবা জিন্স, সব ধরনের পোশাকই সুন্দর করে ভাঁজ করে গুছিয়ে তার পরে আলমারিতে রাখুন।