ঘর সাজাবেন কী ভাবে? ছবি: ফ্রিপিক।
পুজোর পরে পকেট ফাঁকা। দামি আসবাব বা ঘর সাজানোর জিনিস কেনার সাধ্য নেই। কিন্তু কম খরচেও ঘর সাজানো যায় মনের মতো করে। বেছে নিতে হবে অন্দরসাজের টুকিটাকি এমন সব জিনিস যাতে রুচি ও আভিজাত্যের ছাপও থাকবে, আবার সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ভারসাম্যও বজায় থাকবে।
বাড়ি মানে তো শুধু আসবাব, মেঝে, দেওয়ালের সমষ্টি নয়, বাড়ির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন তাকে সুন্দর করে সাজিয়েগুজিয়ে রাখা। আর এখানেই আসে ‘ডেকর আইটেম’-এর কথা। ঘর সাজানোর জন্য এখন সেরামিক ও চিনামাটির হরেক জিনিসপত্র পাওয়া যায়। সেরামিকের চায়ের কাপ ও প্লেটও হয়ে উঠতে পারে অন্দরসাজের সামগ্রী। হালকা রঙের দেওয়ালের প্রেক্ষিতে গাঢ় রং ভাল লাগবে। দেওয়ালের কোনও তাক বা শো-কেসে সাজিয়ে রাখতে পারেন সেরামিকের কাপ-ডিশ।
চিনেমাটির তৈরি ঘর সাজানোর জিনিসের বিপুল সম্ভার এখন শহরের দোকানে দোকানে। বাসনপত্র থেকে শুরু করে ফুলের টব, দেওয়া সাজানোর সামগ্রী, ফুলদানি, কারুকাজ করা মূর্তি আরও কত কি! অন্দরসজ্জায় শৈল্পিক স্পর্শ আনতে চাইলে চিনেমাটির কাপ, প্লেট, ট্রে, টব দিয়ে সাজাতে পারেন ঘর।
খাওয়ার টেবিলে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখুন সেরামিকের ডাইনিং সেট। রঙিন স্যুপ বোল থেকে পাস্তা বোল, ফ্রুট বোল, সব রকম আকার ও আয়তনেই পেয়ে যাবেন। ডোকরার গয়না বেশ কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ডোকরার নানা রকম মূর্তি বা দেওয়াল-শিল্পও ঘর সাজানোর জন্য অনেকেরই প্রথম পছন্দ। এ সব জিনিস সহজলভ্যও।
একটু সৃজনশীল হলেই পুরনো জিনিসপত্র দিয়েই ঘর সাজিয়ে নেওয়া যেতে পারে নতুন রূপে। পুরনো কাচের বোতল, খবরের কাগজও সৃজনশীলতার গুণে হয়ে উঠতে পারে চমকপ্রদ ঘর সাজানোর জিনিস।