চুল গজাতে কি সাহায্য করে অ্যালো ভেরা? ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকের যত্নে, চুলের বাড়বৃদ্ধির জন্য বহু দিন ধরেই অ্যালো ভেরার ব্যবহার হয়ে আসছে। বাংলায় অ্যালো ভেরা পরিচিত ঘৃতকুমারী নামে। এটি সাকুলেন্ট জাতীয় উদ্ভিদ। অ্যালো ভেরার পাতার ভিতরে থাকা শাঁস ত্বক থেকে চুলের চর্চায় ব্যবহার হয়। প্রশ্ন হল, চুলের জন্য উপকারী হলেও অ্যালো ভেরার শাঁস ব্যবহার করলে কি চুল গজানো সম্ভব?
গুণ
অ্যালো ভেরাতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই। জিঙ্ক ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে এতে। রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও উৎসেচক। অ্যালো ভেরা প্রদাহ কমাতে ও ত্বক ও চুলে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
চুলে প্রভাব
১. ভিটামিন ই এবং সি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জিঙ্ক চুলের ভেঙে যাওয়া, ঝরে পড়া রোধ করে।
২. অ্যালো ভেরাতে থাকা প্রোটিওলাইটিক উৎসেচক মাথার তালু থেকে মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। নতুন চুল গজানোর জন্য মরা কোষ সরানো জরুরি।
৩. অ্যালো ভেরাতে থাকা প্রদাহনাশক উপাদান খুশকি দূর করতে, মাথায় চুলকানি বা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বককে আর্দ্র করে ও প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিয়ে চুল গজাতে সাহায্য করে।
কী বলছে গবেষণা?
২০০৯ সালে ‘ডার্মাটোলজি’ নামে একটি জার্নালে ‘অ্যানড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া’ (চুল ঝরার একটি ধরন )-র চিকিৎসায় অ্যালো ভেরার ভূমিকা নিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল চুল গজাতে, মাথার তালুর স্বাস্থ্যরক্ষায় এই ভেষজ কার্যকর।
ব্যবহার
অ্যালো ভেরা পাতার দুই ধারের অংশ ছুরি দিয়ে কেটে ভিতরের শাঁস বার করতে হবে। তার সঙ্গে সবুজ টুকরো, হলুদ অংশ মিশে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিতে হবে। শাঁসটি মাথার তালুতে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখতে হবে। তার পর ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে মৃদু কোনও শ্যাম্পু করে নিলেই হবে। সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করতে হবে।
সাবধানতা
সরাসরি অ্যালো ভেরার শাঁস ব্যবহার করলে অনেকের অ্যালার্জি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাজার চলতি অ্যালো ভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি চুল ঝরা বন্ধ করতে কোনও চিকিৎসা করালে, অ্যালো ভেরা আলাদা করে ব্যবহার না করাই ভাল। এতে নির্দিষ্ট চিকিৎসার ফল পেতে সমস্যা হতে পারে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। অ্যালো ভেরা ব্যবহারে চুল ঝরা বন্ধ না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।