বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে বাড়ির প্রবেশপথ সাজানোর রেওয়াজ রয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রদেশে। ছবি : সংগৃহীত
উৎসবের দিনগুলিতে নিজের সঙ্গে নিজের পরিসরকেও সাজিয়ে তুলতে ভালবাসেন অনেকে। দীপাবলি উপলক্ষে অনেকের বাড়িতেই পুজো হয়, বলা হয় বাইরে থেকে ঘরে ঢোকার প্রবেশপথে আলপনা দিয়ে, সুন্দর করে সাজিয়ে রাখলে নাকি মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।
বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে বাড়ির প্রবেশপথ সাজানোর রেওয়াজ রয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রদেশে। সাধারণত রঙিন কাগজ, আলো, বিভিন্ন রং দিয়ে আলপনা এঁকে ঘরের দরজার সামনে বা মূল প্রবেশপথ সাজানো হয়। কিন্তু গত বছরের পুরনো আলোর মালা, বা অন্যান্য জিনিসগুলি দিয়ে প্রতি বছর সেই একই ভাবে দরজা সাজাতে কারই বা ভাল লাগে?
ব্যাটারি চালিত আলোর লম্বা তারগুলি বোতল বা শিশির মধ্যে ঢুকিয়ে দিন। ছবি : সংগৃহীত
পুরনো জিনিসগুলিকে নতুনের রূপ দিলে এ বছর দীপাবলিতে ঘর সাজাতে আর তাড়াহুড়ো করে দোকানে ছুটতে হবে না।
১) চিরাচরিত মোমবাতির বদলে সুগন্ধী মোমবাতি জ্বালাতে পারেন। দরজার সামনে ধাতুর বা পাথরের বড় পাত্রে জল ভরে নিন। তার মধ্যে বিভিন্ন রকম ফুল ছড়িয়ে দিন। জলে ভাসে এমন মোমবাতিও জ্বালাতে পারেন।
ছোট ছোট বাল্ব দেওয়া রঙিন বা একরঙা আলোর মালা উঁচু থেকে ঝুলিয়ে দিলেই হল। ছবি : সংগৃহীত
২) বাড়িতে জামা-কাপড় ঝোলানোর হ্যাঙার নিশ্চয়ই আছে। হ্যাঙারগুলি ভাল করে ধুয়ে, পরিষ্কার করে নিন। ইচ্ছা হলে রঙিন কাপড় বা কাগজে মুড়িয়ে নিন। ছোট ছোট বাল্ব দেওয়া রঙিন বা একরঙা আলোর মালা জড়িয়ে নিন। এ বার উঁচু থেকে ঝুলিয়ে দিলেই হল।
আলপনার মাঝেমাঝে সুন্দর ফুল রেখে দিন। ছবি : সংগৃহীত
৩) বাড়িতে কাচের অনেক বোতল পড়ে আছে? বা এমন কাচের শিশি আছে, যেগুলির ঢাকা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফেলে না দিয়ে, ওইগুলিকেই কাজে লাগান। ব্যাটারি চালিত আলোর লম্বা তারগুলি বোতল বা শিশির মধ্যে ঢুকিয়ে দিন।
৪) দরজার সামনে সুন্দর করে আলপনা দিয়েছেন কিন্তু ব্যাটারির আলো নেই। তার জন্য চিন্তারও কিছু নেই। আলপনার মাঝেমাঝে সুন্দর ফুল রেখে দিন।
৫) আপিস থেকে ফিরে আলপনা দেওয়ার সময় নেই? এখন দোকানে আলপনা দেওয়া আঠা কাগজ পাওয়া যায়। কিনে লাগিয়ে দিন, পাশে রেখে দিন বাটিতে বসানো মোমবাতি।