কোন ঘরে কেমন রং করাবেন। ছবি: ফ্রিপিক।
ঘরে কেমন রং করাচ্ছেন, তার উপর কিন্তু ভাল থাকাও অনেকটাই নির্ভর করে। তাই দেওয়ালের রং বুঝেশুনেই বাছা উচিত। এক সময়ে সাদা রংকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হত। কিন্তু এখন দেওয়াল জুড়ে হরেক রঙের খেলা। বিভিন্ন রকম ওয়াল আর্টও করানো হচ্ছে। ফোটোফ্রেম, ওয়াল হ্যাঙ্গিং, ওয়াল প্লেট, ওয়ালপেপার— দেওয়ালের সাজসজ্জার এখন অনেক রূপ, অনেক ধরন। গ্রাফিত্তি বা ডুড্ল আর্টও দেওয়ালে এখন দিব্যি শোভা পায়। কারুকাজ যা-ই করান না কেন, সবচেয়ে আগে দেওয়ালের উপযুক্ত রং বাছাই করা জরুরি। এমন রং বেছে নিতে হবে, যাতে প্রতিটি ঘর প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
আগেকার দিনে চুনকাম করা দেওয়াল বা বড়জোর হালকা হলুদ কিংবা সাদা রং করানো হত। আর এখন পান্না সবুজ, আকাশি নীল থেকে হালকা গোলাপি— পছন্দমতো রঙই বেছে নেন সকলে। কারও প্রিয় ক্রিম, তো কারও সমুদ্র-নীল। আসবাবের সঙ্গে মিলিয়ে রং করার চলও আছে। ঘরের একটি দেওয়ালে গাঢ় শেড আর অন্য দেওয়ালগুলিতে হালকা রং। আর টেক্সচার্ড দেওয়ালও অনেকের পছন্দ। ঘরের রং নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলেই। তবে রং বাছার আগে মাথায় রাখতে হবে, ঘরের আয়তন ও আসবাবের ধরন কেমন।
লাল, নীল, হলুদের মতো রং একসঙ্গে ব্যবহার করে অন্য রকম লুক দেওয়াই যায়। তবে কিন্তু পরিমিতি বোধ থাকাটা খুব দরকার। রঙের কারসাজিতে ছোট ঘর বড় দেখায়, আবার যে ঘরে তেমন আলো বাতাস ঢোকে না, তা-ই মনে হতে পারে খোলামেলা। ঘরের আকার যদি ছোট হয়, তা হলে আকাশি নীল ক্রিম খুব ভাল খুলবে। আসবাবের রং হালকা হলে, দেওয়ালেও হালকা রং করান। এতে আসবাবের আয়তন ছোট দেখাবে। ঘর বড় হলে একটু গাঢ় রং করানোই যায়। তবে ভাল হয় যদি একটা দেওয়ালে গাঢ় রং করিয়ে বাকিগুলি সেই শেডেরই হালকা রং করান। আবার ঘরে যদি প্রচুর আলো ঢোকে, তা হলেও সি গ্রিন, টারকোয়েজ়, গাঢ় নীল, গাঢ় গোলাপির মতো রং করাতে পারেন।
নীল এবং সবুজ সাধারণত মন শান্ত করে, তাই বাথরুম, স্টাডি কর্নারের পক্ষে আদর্শ। খাওয়ার ঘরের একটি দেওয়ালে লাল রং করাতে পারেন। আবার শোয়ার ঘরেও লালের একটি শেড রেখে, বাকি দেওয়ালগুলিতে লালেরই কোনও হালকা শেড দিলে মন্দ লাগবে না। ছোটদের ঘর যত রঙিন হবে, ততই ভাল। ঘরের একটা দেওয়ালে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখতে পারেন বা সমুদ্রের মতো এফেক্ট এঁকে দিতে পারেন। কিংবা ওদের পছন্দের কোনও কার্টুন চরিত্র। ঘরের সিলিং জুড়ে গ্যালাক্সি আঁকা থাকলে ছোটদের পছন্দ হবে। তবে সবচেয়ে জরুরি ভাল গুণমানের রং ব্যবহার করা। নয়তো কিছু দিন পরেই উজ্জ্বলতা কমে যাবে।