ছিমছাম ভাবে ঘর সাজালে মনও ভাল থাকবে। ছবি: সংগৃহিত
জিনিস কিনতে ভালবাসেন বলে, বাড়ির নানা জায়গায় একটার পর একটা সুন্দর আসবাব কিনে সাজাচ্ছেন। কিন্তু সেটা বাড়তি হচ্ছে কি না, ভেবে দেখেছেন? দেখতে হয়তো ভাল লাগছে, কিন্তু বাড়িতে যে একটা আলো-হাওয়ার পরিবেশ দরকার সেটা থাকছে কি? কিছুদিন পরে আপনার নিজেরই দম বন্ধ লাগবে না তো? বাড়ি কেমন ভাবে সাজানো, তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে মনের ভাল থাকাও। তাই ছিমছাম ভাবে বাড়ি কী ভাবে সাজাবেন, জেনে নিন।
কী কী মাথায় রাখবেন?
১) বাড়ির রং হালকা রাখুন। সাদা, হালকা গোলাপি, ছাই রং ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের রং ঘরে প্রথমেই একটা ছিমছাম ভাব তৈরি করে।
২) ড্রয়িং রুমে যদি একটি সোফা রাখেন, তাহলে তার আশপাশে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখুন। অতিরিক্ত জিনিস রাখবেন না। এই কয়েকটা জিনিসই বসার ঘরের একটা চরিত্র তৈরি করে দেবে।
৩) ছিমছাম ভাবে ঘর সাজানোর প্রাথমিক শর্তই হল ঘর পরিষ্কার রাখা। ঘর যদি অগোছাল থাকে, তাহলে দেখতে ভাল লাগবে না। জিনিসপত্র বাইরে ছড়িয়ে না রেখে, ড্রয়ার বা ওয়ার্ড্রোবে ভরে রাখুন। রান্নাঘরেও জিনিসপত্র একটু গুছিয়ে রাখুন।
৪) ঘরে ঢুকে একটা জিনিসেই যাতে চোখ যায়, সে রকম ভাবে ঘর সাজানো উচিত। ধরা যাক বেডরুমে বিছানার মাথায় একটি ছবি বা আর্টের কোনও কাজ রাখলেন। খেয়াল রাখতে হবে, সারা ঘরে ওইটাই যাতে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে।
৫) আসবাব বেশি না রেখে, বেডরুমের কোনও একটা দেওয়ালে হালকা সবুজ বা ছাই রঙের সুন্দর টেক্সচার করা ওয়ালপেপার ব্যবহার করতে পারেন। তাতে ঘরের রঙের সঙ্গে একটা কনট্রাস্ট তৈরি হবে।
৬) ঘরে ঠিক-মতো আলো-হাওয়া আসলে ঘরের সৌন্দর্যই অন্য রকম হয়। তার জন্য বাড়িতে যদি খোলা জানলা রাখতে পারেন, খুব ভাল। ভারী পরদা ব্যবহার করার দরকার নেই, ব্যবহার করতে পারেন শিয়র কার্টেন। এতে আলো-হাওয়া অনেক বেশি আসে। কারও যদি প্যাটার্নের শখ থাকে, তাহলে সেই প্যাটার্নের পরদার পাশাপাশি ঘরের কুশন ও কার্পেটেও সেই প্যাটার্ন ব্যবহার করতে পারেন।