প্রতীকী ছবি।
করোনা আমাদের তো অসহায় করেইছে, বাচ্চাদেরও একদম ঘরবন্দি করে দিয়েছে। স্কুলের ক্লাসও আজকাল বাড়ি থেকে হচ্ছে। বাইরে খেলাধুলোও বন্ধ। সুতরাং একজন বাচ্চা সব সময়ই বাড়িতে থাকছে। নতুন করে ঘর সাজাচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা এই বিষয়টা মাথায় রেখে ঘর সাজাতে শুরু করুন। কারণ একটা বাচ্চার যেহেতু বেশির ভাগ সময়ই তার ঘরে কাটবে, তাই তার ঘর সাজানোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে তার মনস্তত্ত্বের দিকটিও। ঘর সাজানোর আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।
আলো-হাওয়া আসতে দিন
বাচ্চার ঘর এরকম বাছুন, যাতে পর্যাপ্ত আলো-হাওয়া আসে। এতে ঘরের ভিতরের পরিবেশ সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর থাকবে। পর্যাপ্ত আলো মনের গতিবিধির উপরও প্রভাব ফেলে। তাই বাচ্চার সদর্থক থাকার জন্য এই রকম ঘর হওয়া দরকার।
প্রতীকী ছবি।
মজার দেওয়াল
অন্দরসজ্জা শিল্পী উর্বশী বসু বলছেন, “ঘরের রং যত হাল্কা হবে, ততই ভাল। বাচ্চারা হাল্কা নীল বা গোলাপি রঙের ঘর পছন্দ করে। এ ছাড়া অন্য কোনও রঙও ব্যবহার করতে পারেন। দেওয়ালে রাখতে পারেন পছন্দের কার্টুন চরিত্র। বাচ্চার পছন্দের ওয়ালপেপার দিয়েও দেওয়াল সাজাতে পারেন।”
খেলনা রাখার জায়গা
বাচ্চারা এখন ঘরেই ছোটখাটো খেলাধুলো করছে। ঘর যাতে অপরিচ্ছন্ন না হয়, তার জন্য খেলনা রাখার একটা ছোট জায়গা করুন। মেঝের কাছাকাছি কোনও আলমারি বা ড্রয়ার হলে, বাচ্চা নিজেই সেখান থেকে খেলনা বার করে নিতে পারবে।
স্টাডি লাইট
বাচ্চাদের পড়াশুনোর পদ্ধতিকে আকর্ষণীয় করার জন্য একটু অন্য রকম স্টাডি লাইট ব্যবহার করতে পারেন। টেবিল চেয়ারে পড়তে যদি বাচ্চার ভাল না লাগে, তাহলে খাটের পাশ থেকেও বাহারি আলো লাগাতে পারেন।
মেঝে পরিষ্কার রাখুন
উর্বশী বসু বলছেন, “বাচ্চাদের ঘরে মেঝে যতটা খালি রাখা যায়, ততটাই ভাল। এতে ঘর পরিষ্কার দেখতে লাগে।” তাই বাচ্চাদের জামাকাপড় রাখার জন্য দেওয়ালেই ওয়ার্ড্রোব বানিয়ে নিন।
ঘর হোক আরামদায়ক
বাচ্চা বেশির ভাগ সময়েই ঘরে থাকবে। তাই ঘরের পরিবেশটা আরামদায়ক হওয়া দরকার। বাচ্চা যদি বাজনা ভালবাসে, তাহলে ঘরে কোনও বাজনা রাখতে পারেন, ইচ্ছেমতো সেটা বাজিয়ে বাচ্চা একটু আনন্দও পাবে।