এক সময় ভারতের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াত হিন্দুস্তান মোটরসের একের পর এক গাড়ি। কমতে কমতে সেই সব গাড়ির বেশির ভাগই এখন অবলুপ্ত।
একমাত্র অ্যাম্বাসেডর ছাড়া হিন্দুস্তান মোটরসের (এইচএম) আর কোনও গাড়িই প্রায় বাজারে টিকে থাকেনি। সেই গাড়ির মালিকানাও বছর খানেক আগে বিদেশি কোম্পানিকে বিক্রি করে দিয়েছে এইচএম।
হালে অভিনেত্রী রাধিকা আপ্টের ছবির দৌলতে আলোচনায় এইচএম-এর লাল টুকটুকে পুরনো এক মডেল। এমনই এইচএম-এর আর কোন কোন গাড়ি এক সময় বিপুল জনপ্রিয় হয়েছিল? জেনে নিন।
হিন্দুস্তান কনটেসা: ১৯৮৪ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এই গাড়ি তৈরি করেছে হিন্দুস্তান মোটরস। তার পরে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কোম্পানিটির সবচেয়ে জনপ্রিয় গাড়িগুলির একটি এই কনটেসা।
হিন্দুস্তান ল্যান্ডমাস্টার: ধনীদের জন্য তৈরি এই গাড়ির চেহারা ভাবা হয়েছিল ইংল্যান্ডের কিছু গাড়ির কথা মাথায় রেখে। পেট্রোলে চলা গাড়িটি ঘণ্টায় ১১২ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে ছুটতে পারত।
বেবি হিন্দুস্তান: মরিস মাইনর গাড়ির আদলে তৈরি এই গাড়িটির সব যন্ত্রাংশ ভারতে বানানো। এই গাড়িটি হিন্দুস্তান মোটরসকে বিপুল জনপ্রিয়তা দেয়। ১৯৫০-এ প্রথম বাজারে আসে গাড়িটি।
হিন্দুস্তান ১০: ১১৪৮ সিসি ইঞ্জিনের গাড়িটি এক সময় রাস্তা দাপিয়ে বেড়াত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া এই মডেলটি ভারতে গাড়ির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকবে।
হিন্দুস্তান ট্রেকার: অ্যাম্বাসেডরের যন্ত্রাংশ দিয়ে এই গাড়িটি তৈরি হয়েছিল। যদিও একেবারেই জনপ্রিয় হয়নি গাড়িটি। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যায় বাজার থেকে।
হিন্দুস্তান ১৪: প্রচণ্ড আরামদায়ক গাড়ি হিসেবে হিন্দুস্তান মোটরস এটিকে বাজারে আনে। ১৪৭৮ সিসি ইঞ্জিনের গাড়িটি অবশ্য ক্রেতাদের মন জয় করতে পারেনি। তাই ১৯৫০ সাল নাগাদ এটি বন্ধ করে দেয় এইচএম।
হিন্দুস্তান বীর: পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম এই গাড়িটি নিয়ে আসে এইচএম। অ্য়াম্বাসেডর গাড়িটির সামনের অংশটি এক রেখে, পিছনে ‘পিকআপ’ জুড়ে দেওয়া হয়। সাড়ে তিন লাখ দামের এই গাড়িটিও বিশেষ জনপ্রিয়তা পায়নি।