অতিমারির পর থেকে বেড়েছে বাড়ি থেকে কাজের পরিমাণ। হালে সেই ধারণাতেও বদল আসছে। অনেকেই চাইছেন চেনা পরিবেশের থেকে একটু দূরে গিয়ে কাজ করতে।
এই কারণেই হালে জনপ্রিয় হয়েছে পাহাড়ে গিয়ে অফিসের কাজ করার পদ্ধতি। প্রকৃতির মাঝে অফিসের কাজও হবে, আবার কাজের শেষে কিঞ্চিৎ ঘুরেও আসা যাবে।
কিন্তু নিজের শহর থেকে দূরে গিয়ে অফিসের কাজ করতে চাইলে, প্রথমেই দরকার ভাল ইন্টারনেট পরিষেবা। হিমালয়ের কোন কোন শহরে সেই পরিষেবা ভাল? কোন শহর থেকে অফিসের কাজ করাটা মোটেই কষ্টকর নয়? তেমনই কয়েকটি জায়গার সন্ধান রইল এখানে।
ধর্মশালা: হিমাচল প্রদেশের এই শহর বা তার একটু দূরের ম্যাকলেয়ড গঞ্জের পরিবেশ অত্যন্ত শান্ত। ইন্টারনেট পরিষেবাও ভাল। অফিসের কাজ করার সেরা জায়গার একটি। তবে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এখানে প্রবল শীত।
নৈনিতাল: উত্তরাখণ্ডের এই শহরে সব সময়েই পর্যটকদের ভিড়। শীতেও পর্যটকরা হাজির হন। অধিকাংশ হোটেলে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা ভাল।
হৃষিকেশ: বিদেশি পর্যটকদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা। যদিও করোনাকালে তাঁদের আনাগোনা কম। কিন্তু ইন্টারনেট পরিষেবা খুবই চাঙ্গা। নদী লাগোয়া ক্যাফেতে বসেই সেরে ফেলা যায় অফিসের কাজ।
মানালি: জমজমাট পর্যটনকেন্দ্র। পর্যটকদের ভিড়ও যেমন আছে, তেমনই আছে নানা ধরনের পরিষেবার সুবিধাও। ইন্টারনেটও ব্যতিক্রম নয়। হোটেলের ওয়াইফাই কাজে লাগিয়ে সহজেই করা যায় অফিসের কাজ।
চাম্বা: হিমাচল প্রদেশের ছোট্ট শহর। হট্টগোল থেকে দূরে শান্ত পরিবেশে মন দিয়ে কাজ করতে চাইলে, এই জনপদের তুলনা নেই। ইন্টারনেট ব্যবস্থাও ভাল।
দার্জিলিং: অতিমারির সময়ে লকডাউনের কারণে মাঝে মধ্যে বন্ধ হয়ে গেলেও পরিষেবার নিরিখে হিমালয়ের অন্য বহু শহরের থেকেই এগিয়ে থাকবে দার্জিলিং।
লেহ: শীতের সময়ে এখানে থাকা কষ্টকর হলেও, পরিষেবার নিরিখে এই শহরও অন্য বহু শহরের চেয়ে এগিয়ে। তবে লেহ শহর থেকে বেরিয়ে গেলেই ইন্টারনেটের হাল খারাপ। শহরের মধ্যে থেকে অফিসের কাজ করতে মোটেই অসুবিধা নেই।