প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
জলখাবারে লুচি-পরোটা খাওয়ার চল এখন অনেকটাই কমেছে। স্বাস্থ্য সচেতন বাঙালি এখন বিকল্প জলখাবার খুঁজছেন। ব্যস্ততাও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। তাই সময় নষ্ট না করে চটজলদি খাওয়া যায়, এমন জলখাবার পেলে সকলেই খুশি।
দুধ দিয়ে সিরিয়াল খাওয়া জনপ্রিয় হয়েছে অনেকদিন থেকেই। বাচ্চাদের ভোলানোর জন্যে নানা রকম সিরিয়াল রয়েছে বাজারে। কিন্তু তার মধ্যে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর সিরিয়াল বেছে নিতে বললে, পুষ্টিবিদরা মুইজলিকে এগিয়ে রাখবেন।
মুইজলি আদপে কী
ওটস, নানা রকম বাদাম, বীজ, আটার ফ্লেক্স এবং ড্রাই ফ্রুট দিয়ে তৈরি মুইজলি। দুধ দিয়ে খাওয়া যায়। তবে দই দিয়ে খাওয়ারই চল বেশি। জলখাবার দইয়ের ‘প্রোবায়োটিক’ পেটে গেলে হজমশক্তি ভাল হয়। সঙ্গে কিছু টাটকা ফল মিশিয়েও খেতে পারেন।
দই-মুইজলি খেলে জলখাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন পাবেন। তা ছা়ড়া রয়েছে আয়রন, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক সহ আরও নানা পুষ্টিগুণ।
প্রতীকী ছবি।
গুণ কী
বাজার চলতি অনেক সিরিয়ালে প্রচুর পরিমাণে চিনি যোগ করা থাকে। তাই স্বাস্থ্যকর খাবারের মোড়কে এগুলোর প্রচার হলেও স্বাস্থ্যের পক্ষে আদৌ কতটা স্বাস্থ্যকর, তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তাই মুইজলির দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। তবে বলে রাখা ভাল যে, প্যাকেটের মুইজলিতেও থাকতে পারে বাড়তি চিনি। তাই কেনার আগে প্যাকেটের পিছনের উপকরণের তালিয়ে খুঁটিয়ে দেখে নেবেন।
১। অন্য সিরিয়ালের তুলনায় পরিমাণে কম চিনি যোগ করা থাকে মুইজলিতে। স্যান্ডউইচ বা ডোনাটের চেয়ে অনেক কম ক্যালোরি থাকে দই মুইজলিতে।
২। ফাইবারে ভরপুর মুইজলির হজমশক্তির পক্ষেও উপকারি।
৩। কম ক্যালোরি হলেও অনেক বেশি সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখে মুইজলি।
৪। মুইজলির মূল উপকরণ ওট্স যা হৃদরোগের আশঙ্কা কমায় এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে।
৫। ময়দার বদলে বাজরা, রাগি, সুজির মতো কিছু উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় কিছু মুইজলি। ফলে ময়দার মতো গ্লুটেন থাকে না এতে।
৬। গ্লুটেন যাঁদের সহ্য হয় না তাঁদের পক্ষে এই খাবার আদর্শ। আবার বাকিদের জন্যেও বেশি গ্লুটেন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। তাই পাউরুটির বদলে মুইজলি খেতেই পারেন জলখাবারে।