ছবি: সংগৃহীত।
কড়াইশুঁটি কচুরি আর আলুর দম, শীতের সকালে এমন জলখাবার পেলে রামগরু়ড়ের ছানার মুখেও হাসি ফুটতে বাধ্য। ডোবা তেলে ভাজা কচুরির স্বাদে মন হারায় ঠিকই। কিন্তু রোজ রোজ তো আর কচুরি খেলে পেটও এক সময় বিদ্রোহ জানাবে। তাই বলে আাবার শীতে কাঁপতে কাঁপতে রুটি, তরকারিও মুখে রোচে না। শীতেও পেট এবং দিল দুই-ই খুশ হবে, আবার শরীর খারাপও হবে না। রইল তেমন ৩ স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু জলখাবারের খোঁজ।
উপমা
যত্ন নিয়ে বানালে উপমার স্বাদও অমৃতের মতো লাগবে। শুকনো কড়াইতে প্রথমে পরিমাণ মতো সুজি ভেজে তুলে রাখুন। তার পর কড়াইতে তেল অথবা ঘি ঢেলে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, গাজর, বিন্স, ক্যাপসিকাম ভেজে নিন। সব্জি হালকা ভাজা ভাজা হয়ে এলে নুন আর সামান্য চিনি দিয়ে অল্প জল দিয়ে ঢেকে দিন। কিছু ক্ষণ পর সুজি দিয়ে অল্প নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন।
বিটের কাটলেট
ভাজাভুজি, চপ কাটলেট খেতে শিশুরা বেশি ভালবাসে। তাদের বিকেলের টিফিনের জন্য বানিয়ে রাখতে পারেন বিটের কাটলেট। বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, কে, ই। এ ছাড়াও রয়েছে আয়রন। শুধু বিটের সঙ্গে আলু, গাজর, মটরশুঁটি, নুন, চিনি দিয়ে ছোট প্যাটিস তৈরি করে দিতে পারেন। এ বার কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণে ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে অল্প তেলে সেঁকে নিন। টোম্যাটো সসের সঙ্গে মেওনিজ় আর চিলি ফ্লেক্স মিশিয়ে তৈরি করে নিন ডিপ। গরম গরম পরিবেশন করুন।
ডাল ইডলি
চাল দিয়ে নয়, মুগ ডাল দিয়েই বানিয়ে ফেলুন ইডলি। মুগ ডাল বেটে নিয়ে তাতে গাজর কুচি, ধনেপাতা কুচি, আধ কাপ দই আর আধ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এ বার একটি প্যানে সামান্য তেল গরম করে তাতে এক চামচ সর্ষে, আধ চামচ হিং, কারিপাতা, ফোড়ন দিন। এ বার একটি তেলের মিশ্রণটি ডালের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এ বার ইডলি মেকারে ডালের মিশ্রণটি দিয়ে মিনিট ১৫ ভাপিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ডাল ইডি। সাম্বার ডালের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন