পটলের সঙ্গে তার বীজগুলিও কি খাবেন? ছবি: সংগৃহীত
বাঙালির রান্নাঘরে পটলের নিত্য যাতায়াত। পটল দিয়ে রাঁধাও যায় বহু ধরনের তরকারি। পটল রাঁধার সময়ে অনেকে তার বীজগুলি ফেলে দেন। কেউ কেউ পটলের বীজ সমেতই রান্না করেন। বিশেষ করে পটল ভাজার ক্ষেত্রে অনেকেই রেখে দেন বীজগুলি। কিন্তু এই পটলের বীজ শরীরের উপর ঠিক কেমন প্রভাব ফেলে?
পটলের বীজ খেলে কী হয়? জেনে নেওয়া যাক।
• পটল কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। সেই একই কাজ করে পটলের বীজও। তবে আরও একটু বেশি মাত্রায়। পটলের বীজ শরীরে গেলে কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
• পটল রান্নার সময়ে তার বীজগুলি ফেলে না দিয়ে, আরও একটি কারণে সেগুলি খাওয়া উচিত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পটলের বীজের কয়েকটি উপাদান রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে জ্বর-সর্দি-কাশিও কমে।
• পটল হজমের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। বীজ সমেত পটল অল্প করে থেঁতো করে নিন। তার সঙ্গে ধনে পাতা মিশিয়ে নিন। এ বার এটি অল্প জলে ভিজিয়ে রাখুন। দিনের মাথায় তিন-চার বার এই পানীয় পান করুন। হজমের সমস্যা কমবে।
• পটলের বীজের কয়েকটি উপাদান রক্ত পরিশুদ্ধ করতেও সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। শরীরের দূষিত পদার্থ বার করে দিতেও সাহায্য করে এটি।
• যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা যদি নিয়মিত বীজ সমেত পটল খান, তা হলে এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।
তবে মনে রাখতে হবে, পটলের বীজের নানা রকম গুণ থাকলেও, এর আস্তরণটি রীতিমতো শক্তপোক্ত হয়। ফলে সেই আস্তরণটি ভাল করে হজম হয় না। খুব বিরল কিছু ক্ষেত্রে এর ফলে পেটে ব্যথা হতে পারে। তবে তার জন্য এর গুণের কথা ভুলে গেলে চলবে না।