পোষ্যদের সঙ্গে সম্পর্ক অল্প সময়ের মধ্যে খুব গাঢ় হয়ে উঠতে পারে। ফাইল চিত্র
অতিমারির জেরে আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে দেখা প্রায় নেই। পরিবারও এখন ছোট। কোনও কোনও বাড়িতে দু’জন। অনেকে একেবারে একাও। দিনের পর দিন কাটছে অন্যের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ ছাড়াই। ভিডিয়ো কলে পরিজনেদের সঙ্গে কথা হলেও তা আর কতক্ষণ? মনোবিদেরা বলছেন, এ সময়ে একাকিত্ব গ্রাস করছে অনেককে। এমন অবস্থায় নিজেকে ভাল রাখার উপায় খুঁজতে হবে অন্য ভাবে।
সমস্যার সমাধান হিসেবে উঠে এসেছে পোষ্য রাখার কথা। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘আমেরিকান অ্যানিমাল হস্পিটাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর এক গবেষণাপত্র এমনই কিছু কথা বলছে। সে গবেষণায় জানা গিয়েছে, পোষ্য মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। মানুষের একাকিত্ব কাটাতে বেশ সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পোষ্যদের সঙ্গে মনিবের সম্পর্ক অল্প সময়ের মধ্যে খুব গাঢ় হয়ে উঠতে পারে। এই সমক্রান্ত এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, প্রায় ৯৩ শতাংশ মানুষ পোষ্যের জন্য নিজের প্রাণও দিতে রাজি।
মনের যত্নের সঙ্গে হয় শরীরের দেখভালও। পোষ্য থাকলে তাকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যেতেই হয়। কোনও কারণ ছাড়া যাঁরা একা একা হাঁটতে বা ব্যায়াম করতে বেরোতে পছন্দ করেন না, তাঁদের একটি পোষ্য থাকা জরুরি। তখন পোষ্যকে হাঁটতে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেরও কিছুটা শরীরচর্চা হয়।