পরীক্ষায় অনেক সময় ধরা পড়ছে না সংক্রমণ। ছবি: সংগৃহীত
করোনা সংক্রমণের উপসর্গ পুরোদস্তুর রয়েছে, তার পরেও কোভিড পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ আসছে— এমন কথা অনেকেই বলছেন। কিন্তু আদৌ কি তা সম্ভব? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?
এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য প্রথমেই দেখে নেওয়া দরকার কোন কোন পদ্ধতিতে কোভিডের পরীক্ষা করা হয়। কোভিড পরীক্ষার জন্য সবচেয়ে প্রচলিত দুই পদ্ধতি হল: ‘আরটি-পিসিআর’(রিয়্যাল-টাইম রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমের্যাস চেন রিয়্যাকশন) এবং ‘আরএটি’ (র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টিং)। এর মধ্যে ‘আরটি-পিসিআর’-কে অনেক বেশি ভরসাযোগ্য বলে ধরে নেওয়া হয়। এবং সেই পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ এলে শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব নেই বলেই ধরা হয়।
কিন্তু এই ‘আরটি-পিসিআর’ ১০০ শতাংশ সঠিক নাও হতে পারে। এমনই বলছেন গবেষকেরা। এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর চিকিৎসক অজিত ঠাকুর এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ কোভিড আক্রান্তের পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ আসার আশঙ্কা রয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি নমুনা সংগ্রহ এবং নমুনা পরীক্ষার ত্রুটির কথা বলেছেন।
এর পাশাপাশি কোভিড পরীক্ষার ‘ভুল’ ফল আসার পিছনে অনেকে ‘ভাইরাল লোড’-এর কথাও বলেছেন। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে করোনাভাইরাস না থাকলে অনেক সময় সংক্রমণ হওয়ার পরেও পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ আসতে পারে।
এক সময় অনেকে দাবি করছিলেন, নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসকে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা ধরতে পারছে না। কিন্তু হালে সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এই দাবি মোটেই ঠিক নয়। ফলে এই মুহূর্তে পরীক্ষা পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাকেই ‘ভুল’ ফলের কারণ বলছেন চিকিৎসকেরা।