এক ছাদের তলায় সারা জীবন বসবাস করাই হোক বা একসঙ্গে আর থাকতে না পারার সিদ্ধান্ত— এই দুনিয়ায় কোনওটাই খুব সহজ কথা নয়। কেবল মনের কথাই শেষ নয় সেখানে, বরং এই বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে আছে নানা বিচিত্র নিয়ম, আইনকানুন। জানেন সে সব কী কী?
আমেরিকার ২৬টি প্রদেশে তুতো ভাইবোনদের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে উঠলে তাঁরা বিয়ে করতেই পারেন, তবে সে ক্ষেত্রে সন্তানধারণ করা যাবে না। পরবর্তী প্রজন্মের জিনগত ত্রুটিরোধ ও শারীরিক সমস্যা কমাতেই তুতো ভাইবোনের মধ্যে বিয়েতে সন্তানধারণের জন্য এমন বিধিনিষেধ রয়েছে সে সব প্রদেশে।
মৃত মানুষকে স্বামী বা স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে বিয়ে করার নিয়ম জারি রয়েছে ফ্রান্সে। তবে হ্যাঁ, সে ক্ষেত্রে দেশের প্রেসিডেন্টের অনুমতি লাগে। শুধু তা-ই নয়, মৃত মানুষটি যে আপনাকে ভালবাসতেন ও বিযে করতে চাইতেন বা তাঁর সঙ্গে আপনার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তারও প্রমাণ দিতে হয়।
পার্টনার বোকা। শুধু এটাই যথেষ্ট বিবাহবিচ্ছেদের জন্য? আমেরিকার মিসিসিপি প্রদেশের অধিবাসী হলে স্বামী বা স্ত্রীর চূড়ান্ত বোকামির নিদর্শন আদালতে প্রমাণ করতে পারলেই বিবাহবিচ্ছেদ মিলবে সহজে।
এক বছর চলে যাবে এমন পরিমাণে শুকনো বিন, শুকনো আপেল, মাংস ও উলের জোগান তাঁর স্ত্রীকে দিতে পারলে এক জন স্বামী তাঁকে ছেড়ে যেতে পারেন। আমেরিকার টেনেসি প্রদেশে বিবাহবিচ্ছেদ পেতে গেলে এই ক’টা ব্যবস্থা পাকা করতেই হবে।
স্ত্রী’র জন্মদিন প্রতি বছরই ভুলে যান? ভাগ্যিস, আপনি ওসিয়ানিয়ারসামোয়া রাষ্ট্রের বাসিন্দা নন! এখানে থেকে স্ত্রীর জন্মদিন ভুললেই ডিভোর্স ফাইল করার অধিকার পেয়ে যেতেন স্ত্রী। তবে হ্যাঁ, স্ত্রী যদি তাঁর ,স্বামীর জন্মদিন ভোলেন তবে কিন্তু এমন নিয়ম খাটবে না!
ফিলিপিন্সেবিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। বিবাহবিচ্ছেদ পাওয়ার অনুমতি সেখানে নেই, বিশেষ কোনও ক্ষেত্রে পৃথক বাসকে অনুমতি দিলেও সম্পূর্ণ বিচ্ছেদ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
স্ত্রী’র সঙ্গে যে দিন খুশি ঝগড়া করুন, কিন্তু রবিবার কোনও দাম্পত্যকলহ চলে না কলোরাডোয়। এমনকি, স্ত্রী যদি মনে করেন, রবিবারও তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করার জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন। এতে জেলও হতে পারে স্বামীর!
দু’টো রবিবার-সহ মোট দশ দিন। বিয়ের ঘোষণা করতে হাতে রাখতে হবে দশটা দিন। মোনাকোর নিয়ম অনুযায়ী, প্রায়ই লোকসমাগম হয়, এমন কোনও টাউন হলের দেওয়ালে, নিজেদের বিয়ের কথা নোট লিখে জানান দিতে হবে। তার পরেই বিয়ে করতে পারবেন হবু স্বামী-স্ত্রী। এর অন্যথা হলে সে বিয়ে বৈধ নয়!
অসুখী দাম্পত্য? বিবাহবিচ্ছেদের জন্য মনের এই টানাপড়েন মোটেও যথেষ্ট নয় ব্রিটেনে। বরং ডিভোর্স পেতে গেলে কোনও না কোনও কারণ দর্শাতেই হয় এখানে। কোনও খারাপ ব্যবহার, অসহনীয় ঘটনা, মানসিক বা শারীরিক অত্যাচার ইত্যাদি কোনও একটা কারণ থাকতেই হবে।
কোষ্ঠীবিচার বা যোটকবিচার একেবারেই নিষিদ্ধ লুইজিয়ানার নিউ ওরলিয়ান্সে। এমনকি, নবদম্পতির উদ্দেশে তাঁদের বিবাহিত জীবন নিয়ে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করাও এখানে আইনবিরুদ্ধ।