যৌবন ফিরবে ককটেলের গুণেই। ছবি: শাটারস্টক
বৃদ্ধ বয়সেই ফিরে পাবেন যৌবন, এমনই একটি রাসায়নিক মিশ্রণ আবিষ্কার করলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। হার্ভার্ডের গবেষক ডেভিড সিনক্লেয়ার বলেন, ‘‘আমরা আগেই জেনেছি, জিন থেরাপির সাহায্য নিয়ে বয়স কমিয়ে আনা সম্ভব। সাম্প্রতিক গবেষণায় আমরা জানতে পেরেছি, রাসায়নিক ককটেলের মাধ্যমেও যৌবন ফিরিয়ে আনা সম্ভব, এই পদ্ধতি আগেরটির তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী।’’
প্রতিটি রাসায়নিক ককটেলের মধ্যে পাঁচ থেকে সাত রকম এজেন্ট থাকে। এই এজেন্টগুলির মধ্যে অনেকগুলি অন্যান্য শারীরিক এবং মানসিক রোগের চিকিৎসার কাজেও ব্যবহার করা হয়। খিঁচুনি, মানসিক অবসাদ এবং পারকিনসন্সের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ভ্যালপ্রোইক অ্যাসিড, ট্রানাইলসিপ্রোমিন এবং প্রমিপেক্সোলের মতো ওষুধের কম্পাউন্ডগুলি বয়স কমানোর এই বিশেষ ককটেলে ব্যবহার করা হয়। প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে গবেষকরা এই ককটেল তৈরির কাজ করছেন। এই গবেষণায় মূলত সেই অণু তৈরির কাজ করা হচ্ছিল, যা কোষের বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বাধা দিয়ে ত্বকে যৌবনের জেল্লাকে ফিরিয়ে আনতে পারে। ডেভিডের মতে, তাঁরা ইঁদুর এবং বাঁদরের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে মোট ছয়টি রাসায়নিক ককটেল শনাক্ত করতে পেরেছেন, যা এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে উল্টে দিতে পারে।
ইঁদুরের অপটিক স্নায়ু, মস্তিষ্কের টিস্যু, কিডনি এবং পেশির উপর এই গবেষণার ইতিবাচক ফল দেখা গিয়েছে। তাদের দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয়েছে, তাদের আয়ুও বেড়েছে। বাঁদরের ক্ষেত্রেও দৃষ্টিশক্তিতে উন্নতি দেখা গিয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এ বার মানুষের উপর এই ককটেলের ট্রায়াল শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।