হেঁশেলের রকমারি স্পঞ্জের ভূমিকা কী? কেনই বা রঙের বৈচিত্র? ছবি:ফ্রিপিক।
বাসন মাজা হোক বা গ্যাস-ওভেন রাখার জায়গাটি পরিষ্কার করা, হেঁশেল পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রয়োজন হয় স্পঞ্জের। তার বিভিন্ন রকম রংও হয়। কখনও হলুদ, কখনও সবুজ। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি, রঙের তারতম্যের কারণ কী?
কোনও স্পঞ্জ হয় হালকা হলদেটে। কোনও স্পঞ্জের এক অংশ হলেদেটে হলেও অন্য দিকে থাকে সবুজ। এই দু’টি রং বেশি দেখা গেলেও হেঁশেলের কাজে লাগানোর জন্য লাল, নীল স্পঞ্জও পাওয়া যায়। কিন্তু এত রং কি শুধুই শৌখিনতা বা বৈচিত্রের জন্য?
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টে এই নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। রান্না সংক্রান্ত জনপ্রিয় প্রোফাইলে বিভিন্ন ধরনের স্পঞ্জের ছবি দিয়ে তার কাজ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
কোন রঙের কী কাজ?
সবুজ স্পঞ্জ বাসন মাজার জন্য ব্যবহার করা হয়। হলুদ কাজে লাগে বেসিন পরিষ্কারে, আর নীল স্পঞ্জ ব্যবহার করা হয় কাচ এবং শৌখিন বাসন মাজার জন্য।
রঙের পাশাপাশি স্পঞ্জের উপকরণও ভিন্ন হয়। সবুজ স্পঞ্জটি একটু শক্ত গোছের। বাসনে লেগে থাকা কড়া দাগ তুলতে, পুড়ে যাওয়া কড়া মাজতে এটি সুবিধাজনক। অন্য দিকে, লালটিকে শক্ত তবে মধ্যমমানের— এমন তালিকায় ফেলা যায়। ফলে থালা,বাটি মেজে নেওয়া যায় এগুলি দিয়ে। হলুদ স্পঞ্জটি বেশ নরম। ফলে যে সব কাজে নরম জিনিসের দরকার, সেখানে এটি ব্যবহার করা যায়।
রঙের বৈচিত্রে কি হেঁশেলের সুবিধা হয়?
রন্ধনশিল্পী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘রকমারি রঙের স্পঞ্জ থাকলে প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা রং বেছে নেওয়া যায়। এতে হেঁশেলের পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে।’’ বিষয়টি খোলসা করা যাক। যে স্পঞ্জ দিয়ে গ্যাস অভেন পরিষ্কার করা হচ্ছে, তা দিয়ে বাসন মাজলে, অথবা মাছ-মাংস ধোয়ার পর সেই জলটা মুছলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। তা ছাড়া, খুব নরম স্পঞ্জ দিয়ে ঘষলে যেমন কড়ার কালি যাবে না, তেমনই শক্ত স্পঞ্জ দিয়ে ঘষলে কাচের গ্লাস বা বোন চায়নার কাপে ঘষার দাগ পড়ে যেতে পারে। হলুদ এবং সবুজ দুই ধরনের রঙের যে স্পঞ্জ পাওয়া যায়, তার নরম অংশটি কাচ বা হালকা বাসন মাজার কাজে লাগানো যেতে পারে, আবার কড়া, খুন্তি মাজতে হলে সবুজ অংশটি ব্যবহার করতে হবে।