আঙুর বনাম কিসমিস। ছবি: সংগৃহীত
আঙুর আর কিসমিস তো একই। একটি কাঁচা, অন্যটি শুকনো। পার্থক্য বলতে এই যা! তা হলে তো দুটো খাওয়ার মধ্যে পার্থক্য নেই, এমনটাই ভাবেন অনেকে। আপনিও কি তাঁদের দলেই?
তা হলে আপনাকে বলে দেওয়া যাক, এই ধারণা একেবারেই ভুল। এ কথা ঠিকই, আঙুরকে রোদে বা হাওয়ায় শুকিয়ে কিসমিস বানানো হয়। কিন্তু সেই প্রক্রিয়াতেই হেরফের হয়ে যায় দুইয়ের পুষ্টিগুণে। তাই কারও জন্য আঙুর ভাল, কারও জন্য কিসমিস। দেখে নেওয়া যাক, কোনটা আপনি খাবেন।
মিষ্টত্ব: কিসমিস শুকিয়ে তৈরি করা হয়। তাই এতে শর্করা অনেক ঘন হয়ে যায়। সেই কারণেই যাঁরা ডায়াবিটিস সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কিসমিস ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। আঙুরে তাঁদের সমস্যা তুলনায় কম। তবু ডায়াবিটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই আঙুর খাওয়া উচিত।
ক্যালোরি: চিনির মতোই ক্যালোরির ক্ষেত্রেও কিসমিস অনেকটাই এগিয়ে থাকবে আঙুরের চেয়ে। কিসমিসের ভিতরের শাঁস অনেক বেশি ঘন বলেই এতে ক্যালোরির পরিমাণ কিছুটা বেড়ে যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ওজন কমাতে: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? তা হলে কিসমিস আপনার অনেক বেশি কাজে লাগবে। যদিও কিসমিসে ক্যালোরির মাত্রা বেশি। কিন্তু তার পরেও আঙুরের থেকে কিসমিস বেশি মাত্রায় মেদ ঝরাতে পারে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: শরীর ভাল রাখতে, দূষিত বস্তু শরীর থেকে বের করে দিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অত্যন্ত প্রযোজনীয়। আঙুরের চেয়ে কিসমিস অনেক বেশি শুকনো বলে, এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘনত্বও প্রায় ৩ গুণ বেশি। সেই বিচারে কিসমিস অনেকটাই এগিয়ে।
আপনার জন্য: প্রত্যেকের শরীরের ধরনধারণ আলাদা। সেই হিসেবে কোনটা আপনার জন্য ভাল, সেটা বুঝে নিতে হবে। যদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টকে গুরুত্ব দিতে চান, তা হলে কিসমিস খেতে পারেন। আর যদি চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়া নিয়ে আপত্তি থাকে, তা হলে কিসমিস বাদ দিয়ে আঙুরই ভরসা। আর যদি তার পরেও প্রশ্ন থাকে, সে ক্ষেত্রে কোনও চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।