চায়ের দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে তিনি খুলতে চলেছেন খাবারের দোকান। ছবি: সংগৃহীত
অর্থনীতিতে স্নাতক। ২০১৯ সাল থেকে চাকরি খুঁজেও ব্যর্থ হয়েছেন। শেষমেশ পটনার বেইলি রোডের অভিজাত উইমেন্স কলেজের সামনে চায়ের দোকান খুলেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গুপ্ত। চেষ্টা করেও নিজের যোগ্যতায় চাকরি পাননি। বাবা-মাকে সাহায্য করতেই মরিয়া হয়েই মূলত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি সেই চায়ের দোকান বন্ধ করে দেবেন বলে ভেবেছেন পটনার এই ‘গ্র্যাজুয়েট চা-ওয়ালি’। না, তিনি কোনও চাকরি পাননি। তবে চায়ের দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে তিনি খুলতে চলেছেন খাবারের দোকান। অবশ্য দোকান না বলে ’গাড়ি’ বলাই ভাল। ট্রাকের আদলে তৈরি এই গাড়িতে পাওয়া যাবে বিভিন্ন স্বাদের মুখরোচক খাবার।
প্রিয়ঙ্কার কথা জানতে পেরে তাঁকে অনেকেই কুর্ণিশ জানিয়েছিলেন সেই সময়। অনেক সাহায্যের হাতও এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা কারও সাহায্য নেননি। বরং অদম্য জেদ আর কিছু করে দেখানোর খিদে তাঁকে পেয়ে বসেছিল। তার প্রতিফলন প্রিয়ঙ্কার পরবর্তী পদক্ষেপেও ফুটে উঠছে। এ বার প্রিয়ঙ্কার দোকানে গেলে শুধু চা নয়, পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারও। প্রিয়ঙ্কার দোকানে বিভিন্ন স্বাদের চা পাওয়া যায়। 'কুলহড় চা' থেকে 'পান চা'— সবই হাজির তাঁর পশরায়। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল রকমারি খাবারও।