ব্যক্তি হিরণ কেমন? গ্রাফিক: সনৎ সিংহ। (মূল ছবি ফেসবুক)
এক সময়ে ছিলেন অভিনেতা। এখন পুরোপুরি মন দিয়েছেন রাজনীতিতে। খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় এই প্রথম বার দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি। আপাতত প্রচারের কাজে ভীষণ ব্যস্ত হিরো হিরণ।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গনগনে গরমকে উপেক্ষা করেই চলছে তাঁর ভোটপ্রচার। সারা দিন ধরে মিটিং, মিছিল, দুয়ারে গিয়ে ভোটপ্রার্থনার মাঝেই আবার নানা ধরনের রাজনৈতিক প্রশ্নের মুখোমুখিও হচ্ছেন। প্রবল ব্যস্ততার মাঝেই আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করল হিরণের সঙ্গে। হাতে সময় মাত্র পাঁচ মিনিট। তার মধ্যেই ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের নানা বিষয় নিয়ে সোজাসাপটা জবাব দিলেন হিরণ।
১) সকালে চোখ খুলেই কোন কাজটা আপনি আগে করেন?
হিরণ: আমি খুব ঠাকুরভক্ত। ঘুম থেকে উঠেই আমি ভগবানের নাম করি।
২) ছুটির দিনে কোন খাবারটা চাই-ই চাই?
হিরণ: আলাদা করে আমার কোনও ছুটির দিন নেই এখন। খাবার নিয়ে আমি বেশি খুঁতখুতে নই। শুনতে অবাক লাগলেও তেতো খেতে আমি কিন্তু সব থেকে বেশি ভালবাসি।
৩) প্রচারে যাওয়ার সময়ে কোন জিনিসটি সঙ্গে নিতে ভোলেন না?
হিরণ: রোজ বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে গলায় একটা সাদা কাপড় ঝুলিয়ে নিই। গরমে ঘাম মুছতে ওটা ভীষণ কাজে লাগে। আর ওআরএসের বোতলটি এখন আমার নিত্যসঙ্গী, ওটা ছাড়া চলে না আমার।
৪) প্রচারে যাওয়ার আগে কোনও সংস্কারে বিশ্বাসী?
হিরণ: সংস্কার বুঝি না। সকালে ঘুম থেকে উঠেও আমি ভগবানকে ডাকি, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও ভগবানেরই নাম করি। ভগবান ছাড়া আমি আর কিছুই বুঝি না। প্রচারে যাওয়ার আগে ঠাকুর নমস্কার করতে কোনও দিনও ভুলি না।
৫) প্রিয় অভিনেতা কে?
হিরণ: আমি ইরফান খানের ভক্ত। ওঁর কাজ আমার ভীষণ ভাল লাগত। আমার দেখা শ্রেষ্ঠ অভিনেতা তিনি।
খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় এই প্রথম বার দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ। (মূল ছবি ফেসবুক)
৬) কাকে দেখে রাজনীতিতে আসার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন?
হিরণ: বাবাকে দেখেই আমার রাজনীতিতে আসা। তিনি অনেক ছোটবেলা থেকে রাজনীতি করতেন। কংগ্রেসের আমলে অনেক আন্দোলনে যোগদান করতে দেখেছি বাবাকে। সেই দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছি আমিও।
৭) কিসে ভয় পান?
হিরণ: বিশ্বাসঘাতকতাকে ভয় পাই ভীষণ। প্রিয়জন আঘাত দিলে বড্ড খারাপ লাগে।
৮) নিজের দলের নেতাদের ছাড়া সমাজমাধ্যমে আর কাকে ‘ফলো’ করেন?
হিরণ: ইনস্টাগ্রামে আমি কাউকে ফলো করি না। এক্সে (সাবেক টুইটার) সব নেতা-নেত্রীকেই ‘ফলো’ করি। বলতে আপত্তি নেই, এক্সে দিদিকেও (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ফলো করি।
৯) রান্না পারেন?
হিরণ: খুব একটা রান্না পারি না আমি। ডিম সেদ্ধ, ডিমের অমলেটটা ভাল বানাতে পারি। আর হ্যাঁ, দোসাও বানাতে পারি।
১০) শেষ সিনেমা/ওয়েব সিরিজ় কী দেখেছেন?
হিরণ: কোভিডের সময়ে সিনেমা দেখতাম। তবে রাজনীতিতে আসার পর আমার আর সিনেমা দেখা হয় না। রাজনীতির পাশাপাশি পিএইচডির পড়াশোনাও করছি আমি। সব মিলিয়ে একদম সময় পাই না আজকাল। এখন আমার বাড়িতে টিভিও নেই।
১১) সাক্ষাৎকারের আগে শেষ ফোনটি কাকে করেছিলেন?
হিরণ: শেষ ফোনটা অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তীকে করেছিলাম। পিএইচডি-পরবর্তী গবেষণার কাজে উনিই আমার গাইড হবেন।
১২) বিরিয়ানি, চাইনিজ় না কি ঘরোয়া বাঙালি খাবার?
হিরণ: ঘরোয়া খাবার খেতেই আমি পছন্দ করি। করলা ভাজা, আলু ভাজা আমার প্রিয়।
১৩) ঘুরতে যাওয়ার পছন্দের তালিকায় কোন কোন জায়াগা রয়েছে?
হিরণ: স্পেনে আমার এখনও যাওয়া হয়নি। সময় পেলে ওখানে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।